নিজস্ব প্রতিনিধি, এলাহাবাদ: জ্ঞানবাপী মসজিদের তহখানায় হিন্দুদের পুজো-আরতি নিয়ে ফের ধাক্কা খেল মুসলিম পক্ষ। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদের তহখানায় পুজো, আরতি চালিয়ে যেতে পারবেন হিন্দুরা। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের পরেই উৎসবে মেতে উঠেছে হিন্দুরা। তবে উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে মসজিদ পরিচালন সমিতি।
বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে স্বঘোষিত হিন্দুদের ধ্বব্জাধারীরা। প্রাচীন কালে শিবমন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল বলে দাবি করে বারাণসী জেলা আদালতে মামলাও দায়ের করেছেন বেশ কয়েকজন কট্টর হিন্দুত্ববাদী। ইতিমধ্যেই হিন্দু পক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত ভুতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্থাকে (জিএসআই) দিয়ে মসজিদের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষাও করিয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর তহখানায় হিন্দুদের পুজো ও আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। ওই নির্দেশের পরেই কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে তহখানায় পুজো-অর্চনা শুরু হয়। বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ পরিচালন সমিতি। তাদের বক্তব্য ছিল, জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের রিসিভার হিসাবে বারাণসীর জেলাশাসককে নিযুক্ত করেছেন। যিনি আগেভাগেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পরিচালন সমিতির সদস্য। ফলে জেলা আদালতের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পরে রায় স্থগিত রেখেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এদিন রায় দিতে মুসলিম পক্ষের আর্জি খারিজ করে বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি।