নিজস্ব প্রতিনিধি : ঝাড়খণ্ডে ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস। এবার ওই রাজ্যে দুই বিধায়কের হিসাব বহির্ভূত প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেনের কথা জানতে পারল আয়কর বিভাগ। শুধুমাত্র বিধায়ক নয়, তাঁদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই লেনদেনের সঙ্গে কয়লা ও লোহার খনির যোগাযোগ রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র আছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
আয়কর দফতরের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, কুমার জয়মঙ্গল ও প্রদীপ যাদব নামে দুই কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর থেকে মোট চারটি রাজ্যে এই বিধায়কদের বিরুদ্ধে তল্লাশি শুরু হয়। ঝাড়খণ্ড, বিহার, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গ-এই চারটি রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানা যায়। তল্লাশির বিষয়টি স্বীকার করেছেন জয়মঙ্গল। আয়কর বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। আয়কর দফতরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কয়লা ও লোহার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তল্লাশি শুরু করা হয়েছিল। সেখান থেকেই দুই কংগ্রেস বিধায়কের নাম উঠে আসে। ইতিমধ্যেই দুই কোটি টাকা সিজ করে দেওয়া হয়েছে। আরও একশো কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে জানা গিয়েছে। আরও বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্থাবর সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেছিলেন ওই দুই বিধায়ক। কিন্তু সেই সম্পত্তির সব তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঝাড়খণ্ডের সরকারে জেএমএমের শরিক দল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি, কিছুদিন আগেই এমন অভিযোগ তুলেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই তল্লাশি অভিযানের পর একই কথা বলেছেন ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন। তাঁর মতে, অবিজেপি রাজ্যগুলিতে সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। সেই জন্যই এই তল্লাশি অভিযান। প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে তিন কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জয়মঙ্গল। সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন তাঁরা, এমন অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধরা পড়ে যান তিন কংগ্রেস বিধায়ক।