নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা অতিমারি শেষ হতেই হায়দরাবাদে ফিরল ‘মাছ প্রসাদোম’। আর টানা তিন বছর পর এই আয়োজন ফেরায় ভিড় উপচে পড়েছে মানুষের। মূলত হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই প্রসাদ খেতে হায়দরাবাদে ভিড় করেন। ৯ জুন থেকে এই শিবির শুরু হয়েছে।
কী এই ‘মাছ প্রসাদোম’? হায়দরাবাদের বাথানি গৌড় পরিবার তিন ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের জ্যান্ত টাকি মাছের সঙ্গে জড়িবুটি দিয়ে এক রকমের ‘ওষুধ’ তৈরি করেন। ওই পরিবারের দাবি, অ্যাজমা-সহ যে কোনও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ক্ষেত্রে তাদের দেওয়া ওই ‘প্রসাদ’ খেলে রোগ সেরে যাবে৷ শুধু তাই নয় এটি খেলে আর কোনওদিন হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের মতো রোগ হবে না বলে দাবি ওই পরিবারের। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১৬০ বছরেরও বেশি পুরনো জড়িবুটি সহকারে বানানো হয় ওই ওষুধ৷ এক সাধু গৌড় পরিবারের পূর্বপুরুষকে এই ওষুধের বিষয়ে জ্ঞান দিয়েছিলেন। সেই সাধু নির্দেশ দিয়েছিলেন, কখনও এই ওষুধ যেন বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহার না করা হয়। সেই নির্দেশ মেনে প্রতি বছর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ওষুধ মানুষকে দেওয়ার জন্য শিবির করা হয়। মাছের সঙ্গে হলুদ রঙের জড়িবুটি দিয়ে খাওয়ানো হয় ওই ‘ওষুধ’। তবে ওই জড়িবুটিতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয় তা গোপন রাখা হয়েছে পরিবারের তরফে।
প্রতি বছর জুন মাসে মৃগাসিরা কার্তি দিবসে (Mrigasira Karthi Day) হায়দরাবাদে নামপল্লী প্রদর্শনী মাঠে (Nampally Exhibition ground ) এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিশু, নারী, সরকারি চাকুরিজীবী, কৃষক-সহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উপস্থিত হন এই ওষুধ নেওয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার শিবিরে এক সেনা জওয়ানকে দেখা যায় এই জড়িবুটি গ্রহণ করতে।