নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বাসের ধাক্কায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা শাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন মা। দাবি জানাচ্ছিলেন ন্যায় বিচারের। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন মহিলা। তাদের সমবেত প্রতিবাদ সহ্য করতে না পেরে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন এক মহিলা সরকারি আধিকারিক। পুত্র-হারা মাকে রীতিমতো ধমকাতে শুরু করেন। বলেন, চুপ করুন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বাস দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন, চতুর্থশ্রেণির ছাত্র অনুরাগ। জানা গিয়েছে, গত বুধবার সে স্কুল বাসে করে যাচ্ছিল। আচমকাই বাসের মধ্যে সে জ্ঞান হারায়। মাথা ছিল জানালার বাইরে। ঠিক ওই সময় চালক আচমকাই বাসটিকে বাঁদিকে ঘুরলে অনুরাগের মাথা রাস্তা ধারের বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মারলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। অনুরাগের মা এবং কয়েকজন প্রতিবেশী মোদিনগরে উপজেলা শাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন।দাবি করেন ন্যায় বিচারের। সমবেত জনতার প্রতিবাদ সহ্য করতে না পেরে দফতর থেকে হনহন করে বেরিয়ে আসেন সহকারি জেলাশাসক। ক্রন্দনরত মহিলাকে আঙুল তুলে ধমকাতে শুরু করেন। বলেন, অনেক হয়েছে। এবার ন্যাকামি বন্ধ করুন। আপনাকে অনেক বার বোঝানো হয়েছে। বলা হয়েছে কান্নাকাটি বন্ধ করতে। কিন্তু কিছুতেই আপনি বন্ধ করছেন না।
দুর্ঘটনার খবর কানে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের।