নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘রক্ষক যখন ভক্ষক’। এই প্রবাদ বাক্য তখনই প্রয়োগ করা হয় যখন যারা আমাদের নিরাপত্তা রক্ষক তারাই শোষকে পরিণত হয়। উত্তরপ্রদেশের নয়ডার ঘটনাও বাস্তবে যেন সেই প্রমাণ দিল। পুলিশের দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার তরুণী। এমনকি অর্থের দাবিও করা হয়।
তরুণীর অভিযোগ, গাজিয়াবাদের সাই উপবন জঙ্গলে বাগদত্তার সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন তরুণী। তখন পুলিশের পোশাক পরিহিত দুই পুলিশকর্মী ও অপর এক ব্যক্তি তাঁদের কাছে আসেন। তাঁর বাগদত্তাকে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। তাঁদের কাছ থেকে ১০,০০০ টাকা দাবি করেন। তরুণী ও তাঁর বাগদত্তা ওই তিন পুলিশের পা ধরে অনুরোধ করে। শেষে তরুণীর বাগদত্তা পেটিএম মারফত ১০০০ টাকা দিতে বাধ্য হয়। এমনকি ৫.৫ লক্ষ টাকার দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। তরুণীর বাগদত্তাকে চড় মারেন। তরুণীকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়। অভিযুক্তেরা বারবার তাঁকে ফোন করতেন। গভীর রাতে তাঁর বাড়ি যেতেন বলে ভয়ানক অভিযোগ।
শেষঅবধি ওই তরুণী ও তাঁর বাগদত্তা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত তিনজন হলেন কনস্টেবল রাকেশ কুমার, হোম গার্ড দিগম্বর এবং অপর এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। ঘটনার পর অভিযুক্ত রাকেশ কুমারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিন অভিযুক্ত পলাতক।