এই মুহূর্তে




পাক আক্রমণ রুখে দিল ‘সুদর্শন’, মাঝ আকাশেই ধ্বংস করল একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর কার্যত পাগল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ঘরে বাইরে সব জায়গায় তার মুখে চুনকালি পড়েছে। বাধ্য হয়ে বুধবার রাতে ভারতের ১৫ টি শহরের সেনা ছাউনিতে আক্রমণের মরিয়া চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হল না। মাঝরাতে পাক আক্রমণের ছক বানচাল করল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিহার করাচি, রাওয়ালপিণ্ডি সহ পাকিস্তানের একাধিক বড় শহরে ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে।

ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা S-400 SAM পাকিস্তানের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়। রাশিয়া থেকে কেনা এই সিস্টেম প্রথম বুধবার রাতেই ব্যবহৃত হয়েছে। এই সিস্টেমেই ভারতের দিকে অগ্রসর হওয়া পাক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ধ্বংস করা হয়েছিল। পাক ড্রোণ ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলি অবশ্য চিন থেকে এসেছিল। তাই বলতে হয় চিন হতাশ করেছে পাকিস্তানকে।

ভারত আগে থেকেই পাকিস্তানের যে কোনও ধরনের দুঃসাহসে বালি চাপা দেওয়ার জন্য সীমান্তে ‘সুদর্শন চক্র’ প্রস্তুত রেখেছিল। S-400 SAM হল রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা একটি দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি সারফেস টু এয়ার মিসাইল। পাকিস্তান থেকে আসা যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে ভারতের ‘সুদর্শন’। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শক্তিশালী সুদর্শন চক্রের আদলে এটি তৈরি, তাই ভারতে এমন নামকরণ। S-400 SAM চিনের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা HQ-9 এর থেকে অনেক বেশি ভাল। এই HQ-9 রয়েছে পাকিস্তানের কাছে।

বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা যে কোনও দেশের জন্য একটি প্রতিরক্ষা ঢাল। এর সাহায্যে শত্রু দেশ থেকে আসা রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন প্রথমে শনাক্ত করা হয়। এর পরে সেই অস্ত্রটি লক করা হয়। অর্থাৎ এর গতিবিধি লক করা হয়। তারপর একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে প্রতিপক্ষের অস্ত্রকে গুলি করে মাটিতে নামানো হয়।

S-400 SAM-ও এক ধরণের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এই সিস্টেমটি নিজেই মাটিতে প্রোথিত হয়। তারপর সেখান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে শত্রুর রকেট-ক্ষেপণাস্ত্রকে বাতাসে গুলি করে ভূপতিত করে।

১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে রাশিয়ার আলমাজ সেন্ট্রাল ডিজাইন ব্যুরো দ্বারা S-400 SAM তৈরি করা হয়েছিল। আসলে, সেই সময়ে পশ্চিমি দেশগুলির কাছে MIM-104 প্যাট্রিয়টের মতো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল। রাশিয়া MIM-104 মোকাবেলা করার জন্য এটি তৈরি করে।

১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে নির্মিত S-200 এবং S-300 সিস্টেমগুলিকে প্রতিস্থাপন করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। ভারতও এটি নিজের জন্য কিনেছে। রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে পাঁচটি S-400 কেনার জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকার একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তি ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি S-400 স্কোয়াড্রন ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে এবং চতুর্থটি এই মরসুমের শেষে আসবে।

S-400 SAM কেন বিশেষ?

প্রতিটি S-400 স্কোয়াড্রনে ১৬টি চাকা থাকে। এর মধ্যেই রয়েছে লঞ্চার, র‍্যাডার, নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং সহায়তা প্রদানের ক্ষমতা। এটি ৬০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আকাশপথে আসা মিসাইল হুমকি ট্র্যাক করতে পারে। এস-৪০০ চার ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে যা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি যুদ্ধবিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনকে বাধা দিতে পারে। ফলে এস-৪০০ ভারতের প্রতিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

কেন এটি পাকিস্তানের কাছে থাকা চিনা HQ-9 এর চেয়ে ভাল?

পাকিস্তান তার বিমান প্রতিরক্ষার জন্য চিনের কাছ থেকে HQ-9 কিনেছে। এখন এর অসুবিধা হলো, চিন নিজেই রাশিয়ার S-300 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভিত্তি করে তার HQ-9 তৈরি করেছে। S-300 নিজেই S-400 এর থেকে এক স্তর নিচের একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফলে পাকিস্তানের কাছে থাকা HQ-9 ভারতের কাছে থাকা S-400 এর তুলনায় ক্ষমতায় পিছিয়ে। HQ-9 এর র‍্যাডার সনাক্তকরণ পরিসর ২০০ কিলোমিটার যা মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে আটকাতে পারে। S-400 এর তুলনায় এর সনাক্তকরণ পরিসর কম হওয়ার কারণে বুধবার ভারত আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তানের।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অদ্ভুত নিয়ম! এখানে বিয়ের আগে বরের ‘ভার্জিনিটি’ পরীক্ষা করতে হয় কনের ‘মাসি’কে

দলে কোণঠাসা শশী শেষ পর্যন্ত নিজেই গাইলেন নিজের সাফাই

মায়ের পরামর্শ মেনে আত্মসমর্পণ করেনি, সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা জঙ্গি আমির

‘সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত-ই থাকছে’, পাকিস্তানের আর্জি খারিজ করে জানালেন জয়শঙ্কর

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রভাব চারধাম যাত্রায়, ক্রমশ কমছে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা

বল নিয়ে বচসার জেরে শিক্ষককে উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করল ছাত্র

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর