নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউ দিল্লিঃ করোনার দাপট চলাকালীন সময় মিলেছিল সতর্কতা। এবার সেই আশঙ্কাই সঠিক হল। ২০২৩ সালের গ্লোবাল টিউবার কিউলোসিস রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। আর সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে যক্ষ্মা(Tuberculosis) আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল ভারতে। শুধু তাই নয় বিশ্বের মোট যক্ষ্মা রোগীর ২৭ শতাংশই ছিল ভারতের। তবে ভারতের স্বাস্থ্য দফতর টিবি আক্রান্তের সংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই নথিবদ্ধ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতের পরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (১০ শতাংশ), চীন (৭.১ শতাংশ), ফিলিপাইন (৭.০ শতাংশ), পাকিস্তান (৫.৭ শতাংশ), নাইজেরিয়া (৪.৫ শতাংশ), বাংলাদেশ (৩.৬ শতাংশ) এবং গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (৩.০ শতাংশ)। পাশাপাশি কেস ফার্টিলিটি রেশিও ভারতে ১২ শতাংশ। যার অর্থ ১০০ জনের মধ্যে ১২ জন এই রোগে মারা গেছেন। তবে এই সংখ্যাটি বৈশ্বিক গড়ের দ্বিগুণ করলে ৫.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বিশ্বের ১৯২টি দেশের ৭৫ লাখেরও বেশি মানুষ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যা ১৯৯৫ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা পর্যবেক্ষণ শুরু করার পর থেকে সর্বোচ্চ। ইতিমধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরের পর বছর ধরে যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে আসছে সরকার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। যক্ষ্মার রোগীকে শনাক্ত করা, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়েছে সরকার।