নিজস্ব প্রতিনিধি, গুয়াহাটি: তিস্তা চুক্তি (Teesta River Deal) স্বাক্ষর নিয়ে টালবাহানায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ (Bangladesh)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী (Bangladesh Foreign Minister) এ কে আবদুল মোমেন (AK Abdul Momen) বলেছেন, ‘গত ১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয়, লজ্জাজনকও বটে।’ কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, কার্যত তিস্তা চুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লির টালবাহানাকে যে ভাল চোখে দেখছে না শেখ হাসিনা সরকার (Sk. Hasina Government) বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রীর ((Bangladesh Foreign Minister)) মন্তব্যেই তা পরিস্কার।
গত ২০১১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Ex PM Manmohan Singh) সরকারের ঢাকা সফরের সময়েই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে সেই চুক্তি আটকে যায়। উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে রাজি হননি তিনি। কেন্দ্রে ক্ষমতার পালাবদলের পরেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বাংলাদেশ সরকারকে আশ্বস্ত করেছিলেন, খুব শিগগিরই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। যদিও ক্ষমতায় আসার আট বছর পেরিয়ে গেলেও তিস্তা চুক্তি কার্যকর করতে পারেননি। কবে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
নদী বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক কনক্লেভে যোগ দিতে অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে এসেছিলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন (AK Abdul Momen)। কনক্লেভের ফাঁকে এক সর্বভারতীয সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত ছিলাম, ভারতও প্রস্তুত ছিল, তবুও ১১ বছরেও তিস্তা চুক্তি করতে পারিনি, এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভারতের সঙ্গে আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। আমরা সব নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। উভয় পক্ষের মানুষের কল্যাণে যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা আবশ্যক।’