নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: কথায়-কথায় পরিবারবাদের বুলি আওড়ে গান্ধি পরিবারকে নিশানা করা অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা কর্নাটকে দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে সেই পরিবারবাদের কাছেই আত্মসমর্পণ করলেন। আসন্ন বিধানসভা ভোটে সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীর ছেলে-মেয়ে, ভাই-ভাতিজাকেকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে। অন্তত ১০ পরিবারের ২৪ জনের নাম প্রার্থী তালিকায় জ্বলজ্বল করছে। আর প্রার্থী তালিকায় পরিবারবাদের জয়-জয়কার নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে শুরু করেছেন নেটা নাগরিকরা। অনেকেই অমিত শাহ-জেপি নাড্ডাদের নিয়ে রঙ্গ-রসিকতায় মেতে উঠেছেন। পরিবারবাদকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘পরিবারবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গেলে ঠগ বাছতে গা উজাড়ের দশা হবে। পতাকা ধরার লোকই পাওয়া যাবে না।’
সূত্রের খবর, কর্নাটক বিধানসভায় দলীয় প্রার্থী তালিকায় যাতে সাংসদ-বিধায়কের ভাই-ভাতিজা, ছেলে-মেয়েকে প্রার্থী না করা হয় তার জন্য সংসদীয় সমিতির বৈঠকে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তাঁর আপত্তিকে গুরুত্বই দেননি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সাংসদ-বিধায়কদের ভাই-ভাতিজাকে প্রার্থী না করলে যে আসন সংখ্যায় দল এক অঙ্কের গণ্ডি পেরোতে পারবে না তা বেমালুম বুঝতে পেরেছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই মুখরক্ষায় বিধায়ক-সাংসদদের ভাই-ভাতিজাদের প্রার্থী করার পথে হেঁটেছেন।
বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দুই ভাই রমেশ জারকিহোলি ও বালাচন্দ্র জারকিহোলি। প্রয়াত বিজেপি নেতা উমেশ কাত্তির ছেলে নিখিল কাত্তি ও রমেশ কাত্তি। কুখ্যাত খনি মাফিয়া গাল্লি জনার্দন রেড্ডির দুই ভাই সোমশেখর রেড্ডি ও করুণাকর রেড্ডি যথাক্রমে লড়ছেন বেল্লারি ও হারানাপ্পাহাল্লি আসনে। গুলবার্গের সাংসদ উমেশ যাদবের ছেলে লড়ছেন অবিনাশ যাদব প্রার্থী হয়েছেন চিনছোলি আসনে। টুমকুরের সাংসদ জিএস বাসবরাজের ছেলে জ্যোতি গণেশের ছেলে টুমকুর (শহর) আসনে লড়ছেন। বাসবানাগুড়ি থেকে লড়ছেন রবি সুব্রহ্মন্যা। তিনি বিজেপির যুব মোর্চা নেতা তেজস্বী সূর্যের কাকা। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো বি শ্রীরামালু ও তাঁর ভাইপো টি এইচ সুরেশ বাবু দুজনেই প্রার্থী হয়েছেন।