নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন যদুপতি। দিল্লি থেকে রওনা হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের এক প্রশ্নের উত্তরে আরজেডি নেতা বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা মানে নিজেদের অস্তিত্ব মুছে ফেলা। জেনে-শুনে এই ভুল করার কোনও অর্থ হয় না। যদুপতির এই মন্তব্যে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। তোলপাড় হওয়ার অন্যতম কারণ, বিহারে সামনেই একটি আসনে উপনির্বাচন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে যদুপতির এই মন্তব্যের পিছনে রয়েছে গত বিধানসভার ভোটের ফল এবং ৩০ অক্টোবরের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের এককভাবে প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত। শেষ বিধানসভায় আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তার মধ্যে ৭৫টি তারা দখল করে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে দখল করে মাত্র ১৯টি আসন। অঙ্কের হিসেবে শক্তভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আরজেডি।
তবে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ কুশেশ্বর আস্থান কেন্দ্রে ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি আরজেডি সুপ্রিমো। সে কারণে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করলেন।
তবে বিহার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভক্ত চরণ দাশ আগেই জানিয়ে দেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আরজেডির সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে। পরবর্তী লোকসভা ভোটে দল এককভাবেই ৪০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
যদিও রাজনীতিতে একটা কথা রয়েছে, কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। পরবর্তী লোকসভা ভোট অনেক দেরি। ফলে, উপনির্বাচনের পর কংগ্রেস ও আরজেডি কাছাকাছি হয় কি না, সেটাও দেখার। কারণ, দুই শিবিরে শত্রু কিন্তু একটাই দল – বিজেপি। তাই, বিজেপির রথ আটকাতে আগামীদিনে দুই শিবির এক হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।