নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্রীনগর: কথা রাখল সেনাবাহিনী। মাত্র ২৪ ঘন্টা আগেই সরকারি কার্যালয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে কাশ্মীরী পণ্ডিত রাহুল ভাটকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল জঙ্গিরা। নিহতের স্ত্রী মীনাক্ষী ভাটকে সেনা আধিকারিকরা আশ্বস্ত করেছিলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই তাঁর স্বামীর খুনিদের ঝাঁঝরা করে দেওয়া হবে। কিন্তু ৪৮ ঘন্টার আগেই নিজেদের কথা রাখলেন সেনা আধিকারিকরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বান্দিপোরায় এক বিশেষ অভিযানে তিন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা সদস্যরা। তার মধ্যে রাহুলের দুই হত্যাকারীও রয়েছে। নিহতের স্ত্রীকে দেওয়া কথা রাখতে পারায় খুশি সেনা আধিকারিকরা।
৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পরে উপত্যকার পরিবেশ অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে গত বছর খানেক ধরেই দাবি করে আসছে মোদি সরকার। কিন্তু সেই দাবি কতটা অসাড় তার প্রমাণ মিলেছিল বৃহস্পতিবার। ওই দিন ছাদোরা গ্রামে সরকারি অফিসে ঢুকে দুই সন্ত্রাসবাদী রাহুল ভাট নামে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাহুলের খুনের প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন জম্মুতে বসবাসকারী কাশ্মীরী পণ্ডিতরা। প্রতিবাদ জানাতে পথে নামেন তারা। ফলে কিছুটা বিপাকে পড়ে যায় মোদি সরকার ও শ্রীনগর প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত মুখ রক্ষায় হত্যাকারীদের পাকড়াও করতে এদিন বিশেষ অভিযানে নামে সেনা সদস্যরা। বান্দিপোরার কাছে পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে আসা লস্কর ই তৈয়বার জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছেন বলে জানতে পারেন। চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় জঙ্গিদের। বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলে। শেষ পর্যন্ত তিন জঙ্গিকে নিকেশ করতে সক্ষম হন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তার মধ্যে দুই জন রাহুলের হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছেন সেনা আধিকারিকরা।