নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়। আর তার জেরেই কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটা দিতে বাধ্য হল মধ্যপ্রদেশের(Madhya Pradesh) ক্ষমতাসীন শিবরাজ সিং চৌহানের(Shibraj Singh Chouhan) সরকার। এক আদিবাসী যুবকের মুখে, মাথায় ও শরীরে প্রস্রাব করতে করতে ভিডিও করেছিলেন সে রাজ্যের এক বিজেপি(BJP) নেতা। নাম তার প্রবেশ শুক্লা(Prabesh Shukla)। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে(Social Media) ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। কার্যত সেই ঘটনায় দেশজুড়ে ধিক্কার ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই ঘটনার জেরে গেরুয়া শিবিরের মুখ পুড়েতেই মঙ্গলবার রাতে প্রভেশকে থানায় ডেকে পাঠায় শিবরাজের পুলিশ। কার্যত সেখানে তাঁকে জামাই আদর করে স্বাগত জানানো হয়। সেই ঘটনার ভিডিও আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেখানেই তাঁকে জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে তার বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়াও হয়।
তবে এত কিছু ঘটনার মধ্যে সব থেকে বড় কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে, প্রবেশের পরিবারের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, পুরনো ভিডিওকে হাতিয়ার করে অযথা ফাঁসানো হচ্ছে প্রবেশকে। অর্থাৎ প্রবেশ যা করেছে তার পিছনে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তার পরিবারের। তাঁদের দাবি ঘটনাটি পুরাতন। ঘটনাটি যে ঠিক নয়, সেটাই তাঁরা মনে করছেন না। অর্থাৎ অপরাধবোধের শিকড় রয়েছে পরিবারের অন্দরেই। এরপরেই আর দেরী করেনি শিবরাজ প্রশাসন। এদিন দুপুরেই বুলডোজার দিয়ে প্রবেশের বাড়ির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়। মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে বলা হয়, বেআইনিভাবে নির্মাণ রয়েছে ওই প্রবেশের বাড়িতে। তাই বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার এই সমালোচনার ঝড়ের মধ্যে এখন বিজেপি তরফে দাবি করা হয়েছে প্রবেশ তাঁদের দলের কর্মী বা নেতা নয়। তার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের সরকার প্রবেশকে বিজেপি নেতা বলেই চিহ্নিত করেছে।