নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আবেদনের দ্রুত শুনানির সিদ্ধান্ত নিল শীর্ষ আদালত। আগামিকাল শুক্রবারই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূল নেত্রীর আর্জির শুনানি হবে। বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতর থেকে শুক্রবারের শুনানির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মহুয়ার আর্জির শুনানির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
‘গুন্ডামিতে’ অভিযুক্ত ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ এনেছিলেন, ‘উপঢৌকনের বিনিময়েই সংসদে প্রশ্ন করছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈথ্র। ওই অভিযোগ পাওয়ার পরে পদক্ষেপ নিতে দেরি করেননি রাজস্থান থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। নজিরবিহীন তৎপরতায় তিনি অভিযোগ পাঠিয়ে দেন এথিক্স কমিটির কাছে। যে কমিটিতে আবার সংখ্যাধিক্য বিজেপি সাংসদদের। এথিক্স কমিটির পক্ষ থেকে লোকসভা থেকে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়। গত ৮ ডিসেম্বর লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে। নিজের সপক্ষে কথা বলার সুযোগ চেয়েছিলেন মহুয়া। তবে তাঁকে সেই সুযোগ দেননি অধ্যক্ষ।
সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ। গত বুধবার তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলের বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি কাউল। এর পরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে হাজির হন মহুয়ার আইনজীবী। বৃহস্পতিবার বা তার পরের দিন শুক্রবার শুনানির আর্জি জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইমেল মারফত আবেদন করুন। আমরা বিষয়টি দেখছি।’