নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এক সময়ের দেশের অত্যতম কংগ্রেস নেতা, পরে সেখান থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী, মনমোহন সিং জাতীয় কংগ্রেস দলের জন্য সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আর তাই সোনিয়া থেকে রাহুল গান্ধি সকলেই অভিজ্ঞ এই নেতার বলিষ্ঠ উপদেশ, পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করেছেন সব সময়। কিন্তু বয়স বড় বালাই। আর এই বয়স এবং বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতার কারণেই আজকের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে থাকছেন না ৮৯ বছর বয়সী এই শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা। তাঁর মতোই এই বৈঠকে থাকছেন না প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। অন্যদিকে দলীয় বৈঠকের আগেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট জানালেন, কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে তিনি রাহুল গান্ধিকেই দেখতে চান।
রবিবার বিকেলে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে অন্যান্য বিশিষ্ট নেতাদের মতো উপস্থিত থাকবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীও। এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য রবিবার সকালেই দিল্লিতে এসে উপস্থিত হয়েছেন গেহলট। তখনই একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানান, ‘রাহুল গান্ধির উচিত দলের সভাপতি হওয়া। গত তিন দশকে গান্ধি পরিবারের কেউ প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হননি। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে গান্ধি পরিবার কংগ্রেসের ঐক্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেরুকরণের রাজনীতি সহজ। বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেসকে মুসলিম দল বলে প্রচার করেছে। দেশের অখণ্ডতা ও ঐক্য বজায় রাখাই আমাদের পথ। ভোটের সময়, ধর্ম সামনে চলে আসে যখন তখন মুদ্রাস্ফীতি কিংবা চাকরি, বেকারত্বের মতো সমস্যাগুলি বিজেপির জন্য পিছিয়ে যায়।’
কংগ্রেসের এই হারের জন্য দায়ী কংগ্রেসের অনৈক্য, একথা এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েই এদিন গেহলট বলেন, ‘২০১৭ সালে, কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং আমরা জিতেছি। চান্নি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পরিবেশও অনুকূল ছিল কিন্তু আমাদের ভুল ছিল যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আমরা পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছি।’