লখনউ: ফের সংবাদের শিরোনামে আশারামের আশ্রম। আশারমের সামনে অল্টো গাড়ি থেকে এক কিশোরের দেহ পাওয়া গিয়েছে। কিশোরীর বয়স আনুমানিক ১৩ থেকে ১৪ বছর। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কোতয়ালি এলাকায় ভীমঘরে ঘটেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, কিশোরীটি চারদিন নিখোঁজ ছিল। কিশোরীর পরিবার থানায় জানিয়েছিল। অন্যদিকে, গাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারামের আশ্রম থেকে আগেও একাধিকবার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। ২০০৮ সালে গুজরাটে আশারামের আশ্রম গুরুকুল থেকে রহস্যজনক ভাবে দুই জন নিখোঁজ হয়ে যান।ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে সবরমতী নদীর তীরে ওই নিখোঁজ ছাত্রদের দেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায় আশারামের আশ্রম থেকে এক শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২০০৮ সালে ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে ওই শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরে আশ্রমের বাথরুম থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
আশারামকে নিজের আশ্রমে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। নাবালিকা অভিযোগ করেছিলেন, আশারাম তাঁকে যোধপুরের কাছে মানাই এলাকায় তাঁর আশ্রমে ডেকে পাঠান। ২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে আশারাম ধর্ষণ করেন। ২০১৩ সালে থেকেই আশারাম যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ২০১৮ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়। প্রথমে সুরাটের দুই বোন প্রথমে আশারাম ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। কিন্তু সেই বিষয়ে কোনও তদন্ত হয়নি।