নিজস্ব প্রতিনিধি, আইজল: নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সোমবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে মিজোরাম বিধানসভার ভোটগণনা। রাজ্যের ১৩টি কেন্দ্রে চলছে ভোট গণনা। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গোনা হবে। সাড়ে আটটা থেকে শুরু হবে ইভিএমের ভোট গণনা। সকাল এগারোটার মধ্যেই ফলের গতিপ্রকৃতি স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ৪০টি আসনের মধ্যে ২৬টি আসনে জিতে ক্ষমতা দখল করেছিল মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার নেতৃত্বাধীন মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। আটটি আসনে জিতেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নিরাপত্তা আধিকারিক হিসাবে দায়িত্ব সামলানো লালডুহাওয়ামার জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম)। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ৫টি আসন। বিজেপি জিতেছিল একটি আসন।
গত ৭ নভেম্বর খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্যটির ৪০ বিধানসভা আসনে এক দফাতেই ভোট নেওয়া হয়। ৮০ শতাংশের উপরে ভোট পড়েছিল। সর্বাধিক ভোট পড়েছিল সারছিপ জেলায়। ওই জেলায় ভোটদানের হার ছিল ৮৪.৭৮ শতাংশ। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোটের লাইনে বেশি দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। কংগ্রেস, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং জেডপিএম ৪০টি আসনের সব কয়টিতে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি লড়েছে ২৩ আসনে। মূলত খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্যে এবারও ত্রিমুখী লড়াই।
বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব পাহাড়ি রাজ্যে জোর প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ছিল। তার প্রভাব ইভিএমে পড়েছে। ‘এবিপি নিউজ-সি ভোটার’-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, এমএনএফ পেতে পারে ১৫ থেকে ২১ আসন। বিরোধী দল জেডপিএম ১২ থেকে ১৮টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ২ থেকে ৮টি আসন। শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে বিজেপিকে। ‘ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স’ এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪০ আসনের মধ্যে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট পেতে পারে ১৪ থেকে ১৮টি আসন। জেডপিএম পেতে পারে ১২ থেকে ১৬ আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৮-১০ আসন। বিজেপি পেতে পারে ২টি আসন।‘জন কি বাত’-এর সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এমএনএফ পেতে পারে ১০-১৪ আসন। জেডপিএমের ঝুলিতে যেতে পারে ১৫-২৫ আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৫-৯টি আসন। বিজেপি পেতে চলেছে ০-২টি আসন।