নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে ৮ জনকে পিসে মেরে দেওয়ার ঘটনায় এবার খুনের মামলা দায়ের হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে। যদিও এখনও ছেলেকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন অজয় মিশ্র। এবার তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে নাকি উপস্থিতই ছিলেন না তাঁর ছেলে আশিস। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলে সঙ্গে অনুষ্ঠানের জায়গায় উপস্থিত ছিল। আমরা দুজনেই সেই সময় উপ মুখ্যমন্ত্রীর উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দিচ্ছিলাম।
কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিসসহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, রবিবার ভোররাতেই বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত লখিমপুরের ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৪ জন কৃষক। ওই ৪ জন কৃষককে পিষে দিয়ে হত্যা করার পরই মন্ত্রীর ছেলের কনভয়ের ওপর চড়াও হন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। দুটি এসইউভি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের দাবি অগ্নি সংযোগের কারণে ওই দুটি গাড়িতে থাকা ৪ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। ওইদিন উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র এং উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এই অজয় মিশ্রই দিন কয়েক আগে কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘কয়েকজনকে এক লাইনে শুইয়ে দিলেই সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।’ তাঁর এই ধরণের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতেই লখিমপুরের খেরিতে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। তাঁরা যখন কালো কাপড় দেখিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন অভিযোগ তখনই তাঁদের ধাক্কা মারে মন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি। ওই গাড়িতেই ছিলেন মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র। এরপরেই ঘটনাস্থলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কনভয়ের ওপর চড়াও হন ক্ষুদ্ধ জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় দুটি গারিতে।এ ম্নকি গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে কয়েকজনকে মিতিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে লখিমপুর।