এই মুহূর্তে




করাচিতে সেনাঘাঁটি-বন্দর গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল নৌবাহিনী




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি:  পাকিস্তানের সঙ্গে সঙ্ঘাত চলাকালীন বন্দর-সহ করাচি শহর ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল নৌবাহিনী। রবিবার (১১ মে) ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সামরিক বাহিনীর সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন নৌবাহিনীর ডিজিএনও ভাইস অ্যাডমিরাল এ এন প্রমোদ। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৯  মে (শুক্রবার) রাতে সেনা ঘাঁটি, বন্দর-সহ করাচি শহর গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজসঙ্কেতের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল।’

‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দেশবাসীকে বিস্তারিত তথ্য জানাতে এদিন সামরিক বাহিনীর তরফে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় সেনার ডিজি (মিলিটারি অপারেশন) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল এএন ভারতী, নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ। ডিজি মিলিটারি অপারেশন রাজীব ঘাই জানান, ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্যই ছিল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধী এবং পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি প্রদান এবং জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা। ৭ মে মধ্যরাতে ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।’

ডিজিএমও রাজীব ঘাই জানান, ‘ পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ও পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তা সত্বেও পাকিস্তানের তরফে হামলা করা হয়েছে। সেই কারণেই পাল্টা জবাব দিতে হয়েছে। জঙ্গি ডেরা ধ্বংসের বদলা নিতে ৯-১০ মে’র রাতে ভারতীয় আকাশসীমার অভ্যন্তরে ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান প্রবেশ করিয়েছিল পাকিস্তান। বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা  চালায়। বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ড্রোন আছড়ে পড়লেও বড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে।’

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাকিস্তান সেনার ডিজিএমও প্রথম দিয়েছিলেন বলে জানিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, ‘গতকাল  শনিবার দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিজিএমও ফোন করেন। আলোচনায় উভয় পক্ষই বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়। প্রত্যাশিত ভাবেই পাকিস্তানি বাহিনী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে। গত রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত ড্রোন হানার চেষ্টা হয়েছে। তার জবাবও দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল সোমবার দুপুর ১২টায় এই নিয়ে আরও আলোচনা হবে দুই তরফে।’

ডিজিএমও জানান, ‘পহেলগাঁওয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুরে’ দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন ভারতীয় সেনার ৫ জওয়ান। পশাপাশি ৭-১০ মে’র মধ্যে ভারতীয় সেনার জবাবি হামলায় পাকিস্তানি সেনার প্রায় ৩৫-৪০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত ভূখণ্ডে হামলায় ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ওই হামলায় ১০০-র বেশি জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে লস্কর ই তৈয়বা ও জইশ ই মহম্মদের কুখ্যাত জঙ্গি ইউসূফ আজহার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্‌সর আহমেদ।

পাকিস্তানের তরফে ইতিমধ্যেই দবি করা হয়েছে, ভারতের তিনটে রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপতিত করা হয়েছে এ বিষয়ে জনতে চাওয়া হলেও কোনও মন্তব্য করতে চাননি সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল এএন ভারতী। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের বায়ু সেনার সমস্ত পাইলট সুস্থভাবে ফিরে এসেছেন।

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের প্রভাব ভারতীয় বাণিজ্যে, প্রবল ক্ষতির আশঙ্কায় চাল ব্যবসায়ীরা

বোকারোতে অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গেলেও ‘মূল মাস্টারমাইন্ড’ পলাতক, খুঁজছে পুলিশ

গভীর কুয়োয় ওঠা নামা যেন বাঁহাতের খেল, দেশি স্পাইডারম্যানের কীর্তি দেখে নিন স্বচক্ষে

‘মে ডে…’, ফের ককপিট থেকে ‘কল’ পাইলটের, বেঙ্গালুরুতে জরুরি অবতরণ ইন্ডিগোর বিমানের

টানা দুই বছর ধরে ১৪ জনের ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের দলিত কিশোরী, ভয়ঙ্কর ঘটনা অন্ধ্রে

Kanishka bombing: চার দশক পর শনাক্ত এয়ার ইন্ডিয়া বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী ‘মিস্টার X’

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ