নিজস্ব প্রতিনিধি : অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। নয়ডার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই কথা বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নয়ডার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ গবেষকদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডল। সেখানে রাজনাথ বলেন, ‘আজাদ হিন্দ সরকারকে দেশের প্রথম স্বদেশি সরকার বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।’ নেতাজিকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরে প্রকারন্তরে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন রাজনাথ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নেতাজি। এটি দেশের প্রথম স্বদেশি সরকার। এই সরকারের নিজস্ব পোস্টাল স্ট্যাম্প, মুদ্রা এবং একটি গোপন গোয়েন্দা সংস্থা ছিল। সীমিত সম্পদ নিয়ে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা সাধারণ কীর্তি নয়, বড় অর্জন ছিল।’ কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে রাজনাথ আরও বলেন, ‘একটা সময় পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির অবদানকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হত। দেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে নেতাজির অবদানকে ছোট করে দেখানো হত। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত বহু তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি এত বছরে। এর থেকেই গোটা বিষয়টি বোঝা যায়।’ রাজনাথের দাবি, নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নেতাজিকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
স্বাধীনতার জন্য নেতাজির অবদান সম্পর্কে জানা উচিত প্রতিটি ভারতীয়র। মোদী সরকার সেই কাজটাই করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় আমি নেতাজির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করি। তারপর তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত এমন ৩০০টি তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়। সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রাজনাথ আরও বলেন, ‘ভারতীয়রা নেতাজিকে একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী, আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বোচ্চ কমান্ডার এবং একজন বিপ্লবী হিসেবে চেনেন। এখন তারা ভাবেন, যে নেতাজি সম্পর্কে আরও কী কী জানা বাকি রয়েছে। ভারতের স্বাধীনতার জন্য অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খুব কম মানুষই তাঁকে অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চেনেন।’ রাজনাথ সিংয়ের এই নেতাজি-প্রেম বিজেপির কৌশলেরই অঙ্গ। কংগ্রেস ও গান্ধী-নেহরু পরিবারকে অস্বস্তিতে ফেলতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই বড় হাতিয়ার।