নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: অঘটনের সম্ভাবনা ছিল না। ঘটলও না। সোমবার বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের ভোট পেয়ে জয়ী হলেন নীতীশ ‘ডিগবাজি’ কুমার। ১২৯ বিধায়কের ভোট পেয়েছেন তিনি। ভোটাভুটি শুরুর আগেই অবশ্য সভাকক্ষ ত্যাগ করেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল, কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা।
সম্প্রতি চিরাচরিত স্বভাব বজায় রেখে ডিগবাজি খেয়ে মহাজোট ছেড়ে এনডিএ’তে সামিল হয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জোট বদলে বিজেপির সমর্থনে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। সোমবারের মধ্যেই তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকর। এদিন বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই অধ্যক্ষ আওয়াদ বিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে এনডিএ জোটের তরফে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়। ওই প্রস্তাব পেশের পরেই ইস্তফা দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। যদিও বিরোধীদের দাবিতে ভোটাভুটি হয়। ওই ভোটাভুটিতে দেখা যায়, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি এবং বিপক্ষে ১১২টি।
স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পরেই নীতীশের আস্থা ভোটের উপরে বিতর্ক শুরু হয়। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব সহ বিরোধী শিবিরের বিধায়করা তাদের ভাষণে বার বার ডিগবাজির জন্য খোঁচা দেন নীতীশকে। পাল্টা শাসক শিবিরের বিধায়করা লালুপ্রসাদ যাদব ও রাবড়ি দেবীর জমানাকে ‘সন্ত্রাসের জমানা’ হিসাবে বেঁধেন। বিতর্কে নিজের ডিগবাজি খাওয়ার পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে নীতীশ বলেন, ‘বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সফল হইনি। নীতীশের ভাষণের পরেই আস্থা ভোটের উপরে ভোটাভুটি হয়। যদিও ওই ভোটের আগেই সভাকক্ষ ত্যাগ করেন বিরোধীরা। ভোটাভুটি শেষে দেখা যায়, ১২৯ বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন নীতীশ।