নিজস্ব সংবাদদাতা, পটনা : তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলায় কোর্টে হাজিরা দেওয়ার আগেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী কার্তিক কুমারকে সরিয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কার্তিককে কম গুরুত্বপূর্ণ আখ দফতর দেওয়া হয়েছে। বিহারে বাহুবলী-রাজ এবং আইনের শাসন ভেঙে পড়ার অভিযোগ যাতে না ওঠে, তাই নীতীশের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
১ সেপ্টেম্বর একটি অপহরণ মামলায় কার্তিকের আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা। আপাতত তিনি অন্তবর্তীকালীন সুরক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু আদালত যদি এই মামলায় রাজ্যের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে, তাহলে সরকারের ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগবে। এই কথা মাথায় রেখেই মামলা ওঠার আগেই কার্তিককে সরিয়ে দেওয়া হল। কার্তিক আরজেডি দলের বিধান পরিষদের সদস্য। যদিও কার্তিকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগকে মান্যতা দেননি আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। তিনি দলের সহকর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে জানিয়েছিলেন। যদিও তাতে আমল না দিয়ে নীতীশ কার্তিককে আইনমন্ত্রী থেকে সরিয়ে দিলেন। রাজ্যের নতুন আইনমন্ত্রী হলেন আরজেডিরই শামিম আহমেদ।
তবে কার্তিক কুমারের ইস্যু বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিতে পারে। বিজেপির অভিযোগ, কার্তিক কুমার জেলবন্দি ডন অনন্ত সিংয়ের ডান হাত। অনন্তের সুপারিশেই কার্তিককে বিহারের আইনমন্ত্রী করা হয়। এখন বিপাকে পড়ে মাত্র মাস দেড়েকের মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে দিতে হল।