নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কোয়েম্বাতুরের ধর্ষিতা মহিলা বায়ুসেনা অফিসার দিনকয়েক আগে বায়ুসেনার উচ্চপদস্থ অফিসারদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেছিলেন যে, তিনি আদৌ ধর্ষিতা হয়েছেন কিনা টার প্রমাণ খুঁজতে টার ওপর রীতিমতো জোর করে বিতর্কিত ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হয়েছে। তাঁর এই সাংঘাতিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্ট যে পরীক্ষাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে একজন বায়ুসেনা অফিসারের ওপর কেন তা প্রয়োগ করা হল, বারংবার সেই প্রশ্নই তোলা হয়। কিন্তু ওই মহিলা বায়ুসেনা অফিসারের অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করলেন বায়ুসেনা প্রধান। এই প্রসঙ্গে তিনি মঙ্গলবার স্পষ্ট জানান যে, ‘কোনও টু-ফিঙ্গার টেস্ট হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর কোয়েম্বাটুরের এক মহিলা বায়ুসেনা অফিসার তাঁরই এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। ২৯ বছর বয়সী ওই মহিলা অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর সহকর্মী ওই বায়ুসেনা অফিসারকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু এরপরেই ধর্ষিতা ওই মহিলা অফিসার তাঁর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জানান যে, তিনি যখন তাঁর সিনিয়র অফিসারদের বিষয়টি জানান তখন তাঁরা প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি।এমনকি তাঁরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। পাশাপাশি তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আরাও গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, যে তাঁর সঙ্গে আদৌ ধর্ষণের মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গেই বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী মঙ্গলবার জানালেন, ‘কোনও টু-ফিঙ্গার টেস্ট করা হয়নি। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।