নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নয়ডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা এক ব্যবসায়ীর ছেলে যশ মিত্তল সোমবার থেকে হস্টেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আর নিখোঁজের পর থেকেই ছেলের মুক্তির বিনিময়ে ৬ কোটি টাকা মুক্তিপণের মেসেজ পেতে শুরু করে ব্যবসায়ী দীপক মিত্তল। এই মেসেজ পাওয়ার পরেই দীপক পুলিশের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনাটি জানান।
এই পুরো ঘটনাটি শুনে পুলিশ নয়ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। তারপরেই সামনে আসে যশ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। এরপরেই পুলিশ যশের বন্ধু রচিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রচিত, শিবম, সুশান্ত ও শুভমের সঙ্গে প্রায়ই ঘুরে বেড়াতেন যশ।২৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের আমরোহার গজরাউলায় একটি মাঠে পার্টি করার জন্য যশকে ডেকে পাঠান তাঁরা। এর পরপরই তিনি তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পার্টি চলাকালীন মারামারি শুরু হয়। তারা যশকে হত্যা করে লাশ মাঠে পুঁতে দেয়।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সাদ মিয়া খান বলেন, এই পুরো ঘটনাটি শোনার পরেই ওই মাঠ থেকে যশের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করলেও অবশেষে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শুভম পলাতক। তাঁকে খুঁজতে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।