নিজস্ব প্রতিনিধি, খুরদা: রাস্তার পাশে দাঁড়ানো বিজেপি নেতা-কর্মীদের আচমকা পিষে দিল বিধায়কের গাড়ি। ঘটনায় জখম হন ১৫ জন। আর ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরেই বিধায়কের উপরে চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। অভিশপ্ত গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিধায়ককেও মারধোর করেন। জনরোষ থেকে বিধায়ককে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ঘটনায় আহত হন সাত পুলিশ কর্মী। তার মধ্যে বনপুর থানার আইসি আর আর সাহু সহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে এখনও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার খুরদার বনপুরের বিডিও অফিসে ব্লক চেয়ারপার্সনের ভোট ছিল। ওই ভোট ঘিরে সকাল থেকেই বিডিও অফিসের বাইরে প্রচুর সংখ্যক বিজেপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই বিডিওর অফিসের দিকে তীব্র গতিতে ছুটে আসে চিলিকার বিধায়ক তথা সাসপেন্ডেড বিজেডি নেতা প্রশান্ত জগদেবের গাড়ি। একের পর বিজেপি নেতা-কর্মীকে চাপা দিতে থাকে। ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন উপস্থিত বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সম্বিত ফিরে পেয়েই বিধায়কের গাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করেন তাঁরা। গাড়ি থেকে বিধায়ককে টেনে নামিয়ে মারধোরও করা হয়।
বিধায়ককে আক্রান্ত হতে দেখে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বনপুর থানার আইসি আর আর সাহু সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। বিজেপি নেতা-কর্মীরা তখন পুলিশের উপরেই হামলা করে। দুপক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। গুরুতর জখম হন বনপুর থানার আইসি সহ সাত পুলিশ কর্মী। তাঁদের ভুবনেশ্বরের এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। বনপুর থানার আইসি সহ তিন পুলিশ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জনতার হাতে প্রহৃত চিলিকার বিধায়ককে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।