নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নকশালবাদ দেশের একটা বড় সমস্যা! সরকার এই সমস্যাটি নির্মূল করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে খবর আসে, ছত্তিশগড়ে বিজাপুর এবং দান্তেওয়াড়ায় পরপর দুটি অভিযান চালিয়ে ২২ মাওবাদীকে খতম করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। আজ সকাল থেকেই মাওবাদী নির্মূল করতে বিশাল অভিযানে নেমেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আরও তদন্ত চলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখন প্রকাশ্যে এসেছে, সেনাদের গুলিতে মোট নিধন হয়েছে ৩০ জন মাওবাদী। সংঘর্ষে জাহান্নামে যাওয়া মাওবাদীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করেছেন নিরাপত্তা বাহিনী। তবে নকশালদের সঙ্গে এই সংঘর্ষে একজন সেনা শহিদ হয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, আগামী দিনে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আরও অভিযান চালানো হবে। বর্তমানে মাওবাদী পাণ্ডা হিদমারকে খুঁজছে নিরাপত্তা বাহিনী। হিদমার সন্ধানের জন্যে ১২৫ টিরও বেশি গ্রামের টেকনিক্যাল ম্যাপিং করা হয়েছে। এছাড়াও ছত্তিশগড়, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সীমান্তবর্তী প্রায় ১২৫ টি গ্রামের তাপীয় ইমেজিং করছে নিরাপত্তা বাহিনী। এসব এলাকায় মাওবাদীদের মাস্টারমাইন্ড হিদমা লুকিয়ে রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ এই এলাকাগুলিতে মাওবাদী ঘাটি রয়েছে একাধিক।২০২৫ সালের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৭ জন মাওবাদীকে খতম করতে সমর্থ হয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এদিন সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল বিজাপুর এবং দান্তেওয়াড়ার সীমান্তে গঙ্গালুর থানা এলাকায় নকশাল বিরোধী অভিযানে নেমেছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণ দেখেই পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীদের দল। মাওবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দুটি পৃথক অভিযানে দলটি ২২ জন মাওবাদীকে খতম করেছে। তার মধ্যে বিজাপুরে ১৮ জন এবং কাঁকরে-তে ৪ জন মাওবাদীকে খতম করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এই গোলাগুলি সংঘর্ষে বিজাপুরের DRG-র একজন সেনা শহিদ হয়েছেন। ইতিমধ্যে সংঘর্ষস্থল থেকে ১৮ জন মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। এলাকায় এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।’ এর কয়েক ঘণ্টা পরেই জানা গেল নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছেন আরও ৮ জন মাওবাদী। যাদের থেকে অনেক বারুদ, কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে ২২ মাওবাদীকে খতম করল নিরাপত্তা বাহিনী

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন যে, গত সপ্তাহে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পণকারী সকলেই নকশাল নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের গাঙ্গালুর এরিয়া কমিটিতে বিভিন্ন পদে সক্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। বৈঠকের পর তিনি টুইটারে জানিয়েছিলেন যে, এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নকশালবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি। অবশেষে রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ প্রচেষ্টার ফলে নকশালপন্থী সংগঠন গুলির দখল দুর্বল হয়ে পড়েছে, তা স্পষ্ট!