এই মুহূর্তে




২২ ঘণ্টা হেঁটে বৈসরনে পৌঁছেছিল জঙ্গিরা, তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য




নিজস্ব প্রতিনিধি: পহেলগাঁও বৈসরণে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের গুলিতে ঝাঁঝরা করেছেন পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্করের সদস্যরা। হামলার পর লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসীরা ঘটনার দায়ভার স্বীকার করেছে। এই ঘটনা গোটা দেশকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিশোধ তুলতে পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। এবভাবে কাশ্মীরকে জবর দখল করতে চায় পাকিস্তান, যা কোনভাবেই হতে দেবে না ভারত। বর্তমানে হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে উদ্যত ভারত সরকার। এই ঘটনার তদন্তভার এখন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন সংস্থা অর্থাৎ NIA-কে দেওয়া হয়েছে। জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।

যাতে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সূত্র অনুযায়ী, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ থেকে ২২ ঘন্টা গভিয জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হেঁটে বৈসরণ উপত্যকায় পৌঁছয়। এবং হিন্দুদের উপর মারাত্মক হল চালায়। এই ঘটনায় গোটা দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া র দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের খুঁজতে জোরকদমে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে দেশের নিরাপত্তারক্ষীরা। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশের পর NIA আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, সন্ত্রাসীদের সাহায্য করেছেন ১৫ জন পহেলগাঁও এর স্থানীয় বাসিন্দা। এছাড়া সন্ত্রাসীরা হামলার সময় দুজন পর্যটকের মোবাইলে ছিনিয়ে নিয়েছিল। এই হামলায় মোট চারজন সন্ত্রাসী জড়িত। যার মধ্যে তিনজন পাকিস্তানি এবং একজন স্থানীয় নাগরিক। যার নাম আদিল থোকার।

ফরেনসিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় AK-47 এবং M4 অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করেছিলেন সন্ত্রাসীরা। এগুলি নিয়েই তাঁরা গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ২২ ঘন্টা হেঁটেছে। ঘটনাস্থল থেকে অনেক কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, যখন সন্ত্রাসীরা হামলা করছিল তখন একজন স্থানীয় ফটোগ্রাফার পুরো হামলাটি ক্যামেরায় ধারণ করেছে। সে সময় তিনি নিজেকে বাঁচাতে গাছে উঠে গিয়েছিল। এই ভিডিওটিও তদন্তের জন্যে খুবই কার্যকরী হবে, এটি সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই হামলার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। যিনি পরিবার নিয়ে সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাঁর দেওয়া তথ্যগুলিও তদন্ত স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। তিনিই হামলার সময়ে সেখানে উপস্থিত সকল পর্যটককে কলেমা পাঠ করতে বলেন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা ততক্ষণে চার জনের মাথায় সরাসরি গুলি করে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে সেখানে উপস্থিত সকলে প্রাণ বাঁচাতে এলোপাথাড়ি ছুটতে শুরু করে।

পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন অনেকেই। তখনই সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে পর্যটকদেল উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়তে থাকে। প্রথমে দুটি সন্ত্রাসী সামনে এলেও পরে একটি দোকানের পেছনে লুকিয়ে থাকা আরও দুই সন্ত্রাসী বেরিয়ে এসে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং ভয়াবহ কাণ্ডটি ঘটায়। পহেলগাঁও ঘটনাটির বিষয়ে প্রথমে পুলিশকে খবর দেন নিহত নৌসেনা অফিসার বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশি। যাদের ঘটনার মাত্র ৬ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল। তিনিই রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশকে জানায়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে আসতেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পাকিস্তানি আরও এক দূতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ

সাইফুল্লাহর শোকসভায় ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পাক সেনার

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে ‘আল্লাহ কে বান্দে …’ গেয়ে হিন্দুত্ববাদীদের হেনস্থার শিকার হিন্দু শিল্পী

রামমন্দিরের নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ জুনের মধ্যে, রাম দরবারের প্রাণ প্রতিষ্ঠা ৫ জুন

চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলা হল স্যুটকেস, ভিতরে মহিলার দেহ, চাঞ্চল্য স্টেশন চত্বরে

পাকিস্তানেই শিকড় জ্যোতিদের, সেই টানেই কী গদ্দারি ইউটিউবারের?

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ