এই মুহূর্তে




একদশক ধরে ছেলে কোমায়!‌ বাবা–মা স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেন সুপ্রিম কোর্টে, আদালত কী বলল?‌

নিজস্ব প্রতিনিধি:‌ বুকে পাথর রেখে ছেলের স্বেচ্ছামৃত্যু চাইলেন বাবা–মা। কারণ ছেলেটি একদশক ধরে কোমায় রয়েছেন। দিনের পর দিন ছেলের ওই কষ্ট দেখতে পারছিলেন না বাবা–মা। তাই ছেলের স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হল পরিবার। ছেলেটির বয়স ৩১ বছর। পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পেয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই যুবক। তারপর কোমায় চলে যান। এই অবস্থা দেখে বাবা–মা বাধ্য হয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। নিজের ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলতে আবেদনও করলেন। কঠিন এই সময়ে চোখে জল নিয়েই আবেদন করলেন স্বেচ্ছামৃত্যুর। তবে শীর্ষ আদালত ছেলেটির সমস্ত মেডিকেল রিপোর্ট দেখে বিচারপতিরা এককথায় বললেন, ‘‌অত্যন্ত দুঃখের।’‌

এদিকে ওই যুবক পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। ছাত্র হরিশ রানা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় চার তলা থেকে পড়ে যান। তখন হরিশ রানা পেয়িং গেস্টে থাকতেন। সালটা ২০১৩। চার তলা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন হরিশ। তারপর থেকে কোমায় চলে যায় ছাত্রটি। ১২ বছর কেটে গিয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠেননি হরিশ রানা। আর এভাবে নিজের ছেলেকে দেখতে পারছেন না বাবা–মা। রানার বাবা অশোক রানা তাঁর ছেলের জন্য ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। আর আদালত মেডিকেল বোর্ডকে ছাত্রের অবস্থা সম্পর্কে নথি জমা দিতে বলে।

অন্যদিকে এরপর মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ বলেছেন, যে দিকগুলি ‘‌অত্যন্ত দুঃখজনক’‌। তবে আরও যোগ করেন বিচারপতিরা যে, ‘‌আমরা ছেলেটিকে চিরকালের জন্য এভাবে রাখতে পারি না।’‌ একইসঙ্গে বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, তাঁরা আগামী মাসে ওই ছেলেটির অভিভাবকদের সঙ্গে এবং সেইসব আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলবেন যাঁরা এই নথিগুলি পড়েছেন। তাই সকলের মতামত আদালতকে চূড়ান্ত রায় দিতে সাহায্য করতে পারবেন। যে অবস্থায় হরিশ রানা রয়েছে তাঁকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে হলে দুটি মেডিকেল বোর্ডের মতামত নিতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে এখন টেনশনে রয়েছেন ছেলেটির পরিবার।

এছাড়া এই ছেলেটির শারীরিক অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ যে, হরিশ রানার বর্তমান অবস্থা থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই রিপোর্ট দেখার পর শীর্ষ আদালত দিল্লির এইমস হাসপাতালকে নির্দেশ দেন, আর একটি মেডিকেল বোর্ড তৈরি করে রিপোর্ট দিতে। তখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি জানিয়ে দেন, এখানেই আছে দ্বিতীয় রিপোর্ট। যা পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতিরা বলেন, ‘‌এই বেঞ্চ এখন সেই জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে এবার আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’‌

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জঙ্গি হাদির মৃত্যুর বদলা নিতে চট্টগ্রামে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার হুমকি

৬০ কোটি প্রতারণার মামলায় মুম্বইয়ে শিল্পা শেট্টির বাড়িতে আয়কর হানা

ঘোমটা খোলা বিতর্ক: পাকিস্তানি ডনের হুমকির পরেই নীতীশের নিরাপত্তা বাড়ানো হল

প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা কুমার শানুর, কত টাকা দাবি গায়কের?

প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের পরই বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, কবে আসবেন?‌ তৎপর পদ্ম নেতারা

হায়দরাবাদে গানের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী নিধিকে চরম হেনস্থা, আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ