নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ২০০০ টাকার নোট অচল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আগামিকাল মঙ্গলবার থেকেই দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে, ২০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়ার প্রতিক্রিয়া। আর তার মধ্যেই সোমবার ২,০০০ টাকার নোট নিয়ে বোমা ফাটালেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রধান সচিব নৃপেন্দ্র মিশ্র। তাঁর দাবি, ‘২০০০ টাকার নোট চালুর পক্ষে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। কেননা, তিনি ২,০০০ টাকার নোটকে কখনই গরিবদের নোট হিসেবে বিবেচনা করেননি।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রধান সচিবের মন্তব্য নিয়ে ‘নোটবন্দি’র হোতা তথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাসষণ দিতে গিয়ে আচমকাই ‘নোটবন্দি’র কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাতারাতি ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওই এক সিদ্ধান্তেই ভেঙে গিয়েছিল ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড। টাকা বদলের লাইনে দাঁড়িয়ে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছিল অনেককে। ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল করে ভারতীয় বাজারে ছাড়া হয়েছিল ২,০০০ টাকার নোট। সাড়ে ছয় বছরের মাথায় সেই ২,০০০ টাকার নোট বাতিল করার কথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, যদি বাতিলই করা হবে, তাহলে কেন রাতারাতি ২,০০০ টাকার নোট চালু করা হল?
সোমবার এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নোটবন্দির সময়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের দায়িত্বে থাকা নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ‘২০১৬ সালে নোটবন্দির সময়ে ২,০০০ টাকার নোট চালু করার পক্ষে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ তিনি জানতেন ২,০০০ টাকার নোট কখনই দেশের গরিবদের কাছে প্রয়োজনীয় নোট হয়ে উঠবে না। তবে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ২,০০০ টাকার নোট বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করেই অনিচ্ছাকৃতভাবে সম্মতি দিয়েছিলেন।’