নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। সেই খন্ডিত দেহাংশের কিছু উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও অধরা শ্রদ্ধার মাথা। মনে করা হচ্ছে, ছাতারপুরের কোনও পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে সেটি। কাটা মুণ্ডু খুঁজে বের করতে পুকুরে ডুবুরি নামাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
প্রাথমিক ভাবে মাথা উদ্ধার করতে পুকুরের সব জল ছেঁচে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল, পুকুরে যে পরিমাণ জল রয়েছে, তা সব বের করে দেওয়া বেশ কঠিন। তাছাড়া পুকুই জলশূন্য হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বেন। তাই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে ছিন্নমস্তকটি উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আফতাব তদন্তে সেভাবে সাহায্য তো করছেই না, উলটে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পেশ করে সে তদন্তের গতিপথকেই বিভ্রান্ত করছে বলে দাবি পুলিশের। তাই ধৃতের নার্কো টেস্ট করা হবে। ঘটনার পুনর্নিমাণেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রদ্ধার দেহাংশগুলি উদ্ধার করাটাও তদন্তের স্বার্থে অত্যন্ত জরুরি বলেই ধারণা তদন্তকারীদের।
শনিবারই আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে ভারী ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, ওই অস্ত্রগুলির সাহায্যে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিল সে। সামনে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে কাকভোরে নিজের বাড়ির বাইরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে আফতাবকে। তার সঙ্গে দুটি ব্যাগ রয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই ব্যাগের মধ্যেই তার প্রেমিকার দেহাংশ ছিল।