নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজস্থান বিধানসভা ভোটের আগে ফের নখদাঁত বের করে ঝাঁপাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এক সংস্থার ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর ওই খবর জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক প্রভু বিজেপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি।’ যদিও ওই অভিযোগ খারিজ করে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘অপরাধ করলে কেউ ছাড়া পাবে না। সোনিয়া কিংবা রাহুল গান্ধি-কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।’
কেন্দ্রে ক্ষমতার পালাবদলের পরে মোদি সরকার আসীন হতেই ফিরোজ গান্ধি প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সম্পত্তির হস্তান্তর নিয়ে তদন্তে শুরু করে ইডি। তদন্তের নামে সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধিকে একাধিকবার জেরাও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইডির দাবি, সংস্থা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের আর্থিক অপরাধ সংগঠিত করা হয়েছে। যদিও ইডির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সোনিয়া এবং রাহুল।
ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মিজোরাম এবং তেলঙ্গানার বিধানসভার ভোট ঘোষণার পরেই অতি সক্রিয় হয়েছে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরের মতো বিশ্বাসযোগ্যহীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একাধিক কংগ্রেস নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি নানা অছিলায় কংগ্রেস নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবও করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইডির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মোট ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ইয়ং ইন্ডিয়া’র ৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে দিল্লি ও মুম্বইয়ে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার দফতর এবং লখনউয়ের নেহরু ভবন।