নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘প্রভুভক্তি কারে কয়’ ফের একবার বুঝিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘বিশ্বস্ত ভৃত্য’ দিল্লি পুলিশ। বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভের অপরাধে মহিলা কর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে দেখা গেল দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিককে। এমনকী মহিলা কর্মীদের সরানোর নামে শ্লীললতাহানির চেষ্টা চালানোর অভিযোগও উঠেছে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। যদিও ‘শাহি ভৃত্য’ দিল্লি পুলিশ শ্লীললতাহানিতে অভিযুক্ত আধিকারিকের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
দেশজুড়ে লাগাম মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে সংগঠনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট নীতা ডি’সুজার নেতৃত্বে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে অবস্থিত বিজেপির সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছিলেন মহিলা কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু ‘প্রভুদের’ কার্যালয়ের সামনে এমন বিক্ষোভ পছন্দ হয়নি দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের। বিক্ষোভ চলাকালীনই এক পুলিশ আধিকারিক সাঙ্গপাঙ্গোদের নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপরে চড়াও হন। সঙ্গে মহিলা পুলিশ থাকলেও তাদের হাতে দায়িত্ব না ছেড়ে ‘প্রভুদের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর অপরাধে মহিলা কংগ্রেস কর্মীদের শায়েস্তা করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ওই পুরুষ আধিকারিক। বসে থাকা মহিলাদের অশালীনভাবে স্পর্শ করার পাশাপাশি তাদের ধরে ট্যানা-হ্যাঁচড়া করতে থাকেন। এক মহিলা কংগ্রেস কর্মী প্রতিবাদ জানালে তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খাকি উর্দিধারী ওই বীরপুঙ্গব পুলিশ আধিকারিকের আচরণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, ‘গত মাসে আমাদের দেশের পদকজয়ী কুস্তিগীরদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের অসভ্যতামির সাক্ষী থেকেছিল গোটা দেশ। এদিন মহিলা কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে একই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে নাইবা পারুক, প্রভুভক্তি দেখানোয় ১০০ শতাংশ মার্কস পাবে।‘