নিজস্ব প্রতিনিধি, পাতিয়ালা: জন্মদিনের কেক-ই যে মৃত্যু ডেকে আনবে তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি পাতিয়ালার বাসিন্দা ১০ বছরের ফুটফুটে মানবী। জম্নদিন উপলক্ষে আনা কেক উৎসাহ নিয়ে কেটে সবাইকে বিলি করার পাশাপাশি নিজের মুখেও পুরেছিল। কিন্তু সাধ করে আনা কেক খেয়ে রাতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ল ফুটফুটে মেয়েটি। আস্তে আস্তে নেতিয়ে পড়ছিল গোটা শরীর। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও বাঁচাতে পারেননি বার্থ ডে গার্লকে। চনমনে, প্রাণখোলা মেয়েকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান গোটা পরিবার।
ছোট্ট নাতনির ছটফট করতে করতে মারা যাওয়ার দৃশ্য এখনও চোখের সামনে ভাসছে ঠার্কুরদা হরবন লালের। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ওই দিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে নাতি-হারা হরবন লাল বলেন, ‘গত ২৪ মার্চ ছিল মানবীর জন্মদিন। পাতিয়ালার এক বিখ্যাত কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছ থেকে অনলাইনে অর্ডার করে কেক আনানো হয়েছিল। সন্ধে সাতটা নাগাদ জন্মদিনের কেক কাটা হয়েছিল। জন্মদিনের কেক কত আনন্দ করেই না খেয়েছিল মেয়েটি। রাত দশটা নাগাদ আচমকাই মানবী-সহ বাড়ির সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ল। বার বার বমি করতে শুরু করে দিল মানবী। বার বার বলতে লাগল, গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, মাথা ঝিম ঝিম করছে। কোনও রকমে সুস্থ করে ঘুম পাড়ানো হল। পরের দিন সকালেই মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গেই অক্সিজেন দিতে শুরু করলেন। ইসিজিও করালেন। কিন্তু বাঁচানো গেল না।’
মানবীর পরিবারের অভিযোগ, অনলাইনে অর্ডার করে আনানো চকলেট কেকে বিষাক্ত কিছু ছিল। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বেকারির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই জন্মদিনের কেকের একটা অংশ পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি পুলিশের। রিপোর্ট হাতে আসার পরেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পাতিয়ালা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।’