নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: জন্মদাতা পিতার লাগাতার ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল কিশোরী মেয়ে। শেষ পর্যন্ত গত সোমবার তামিলনাডুর ভেলোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Vellore Medical College ) এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রী। ইতিমধ্যেই মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে নরপিশাচ বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে (Protection of Children from Sexual Offences (POCSO) মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নরপিশাচ বাবার চরম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেলোরের বাসিন্দা ১৩ বছরের কিশোরী কন্যাকে লাগাতার ১০ মাস ধরে ধর্ষণ করেছিল বাবা। ভয়ের কারণে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি। সম্প্রতি পেটে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করায় ওই কিশোরীকে ভেলোরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, পেটের মধ্যে টিউমার জাতীয় কিছু হয়নি। ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। নির্যাতিতার প্রাণের আশঙ্কা হতে পারে বলে চিকিৎসক গর্ভপাতে রাজি হননি। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদের পরেই বাবার কুকীর্তি ফাঁস করে ওই ত্রয়োদশী কিশোরী। ভেলোর হাসপাতালের পক্ষ থেকেও শিশু কল্যাণ সমিতির (child welfare committee) কাছে গোটা ঘটনা জানানো হয়। শিশু কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ভেলোরের মহিলা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তদন্তে নেমে চমকে ওঠেন ভেলোর মহিলা থানার তদন্তকারীরা। নির্যাতিতা কিশোরী জানায়, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ার পরে দাদু-দিদার কাছে থাকত। খাবারের লোভ দেখিয়ে একদিন বাবা তাঁর সঙ্গে নোংরামি করে। কাউকে কিছু জানালে খুন করে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়। তার পর থেকে সুযোগ পেয়ে নিয়মিতভাবে ধর্ষণ করে গিয়েছে। ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি। কিশোরীর ওই জবানবন্দির পরেই নরপিশাচ বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।