নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ওষুধের দোকান হোক কিংবা রেস্তোরাঁ। শপিং মল হোক কিংবা ফাস্টফুড সেন্টার। অনেক ক্ষেত্রেই বিল করার সময়ে খদ্দেরদের মোবাইল নম্বর দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হয়। মোবাইল নম্বর না দিলে বাড়তি ছাড় পাওয়া যাবে না বলে পরোক্ষে হুমকিও দেন বিক্রেতারা। এমন ভুরিভুরি অভিযোগ পেয়ে এবার কুম্ভকর্ণের ঘুম ভেঙে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক। মঙ্গলবার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় খুচরো বিক্রেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর জানানোর জন্য জোর করা যাবে না।’ নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা কিংবা সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব রোহিত কুমার সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘বহু ক্ষেত্রে ক্রেতাদের কাছ থেকে জোর করে মোবাইল নম্বর আদায়ের অভিযোগ জমা পড়ছে। মোবাইল নম্বর না দেওয়া হলে বিল তৈরি করা যাচ্ছে না বলে মিথ্যে অজুহাত দেখাচ্ছেন খুচরো বিক্রেতারা। জোর করে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর আদায় করা শুধু অন্যায্য নয়, ক্রেতা সুরক্ষা আইনের পরিপন্থীও। কিছু সংস্থা ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর নিয়ে লাগাতার বিরক্ত করছে এবং ব্যাক্তিগত তথ্য অন্য সংস্থার কাছে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ধরনের অনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’
ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনও খুচরো বিক্রেতা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যাতে জোর করে মোবাইল নম্বর আদায়ের চেষ্টা না করে সেদিকে নজর রাখার জন্য দেশের দুই শিল্প ও বাণিজ্যিক সংগঠন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি ও ফিকি’কে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক সচিব রোহিত কুমার সিং।