নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: ছাড়ালে না ছাড়ে, কী করিব তাহারে? শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে জট ছাড়াতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। একদল খুশি তো অন্য দল বেঁকে বসছে। এই যেমন বিহারে। সেখানে রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ানকে খুশি করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পশুপতি পারসকে উপেক্ষার পথে হেঁটেছিলেন জেপি নাড্ডা-অমিত শাহরা। এমনকি রামবিলাস পুত্রের পথের কাঁটা সরাতে পশুপতিকে রাজ্যপাল পদেরও লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব তো নিলেনই না, উল্টে পরোক্ষে এনডিএ ছাড়ার হুমকিও দিয়ে ফেললেন।
সূত্রের খবর, বিহারে ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে চিরাগ পাসোয়ানকে ৫টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। জিতনরাম মাজি ও উপেন্দ্র কুশয়াহার দল লড়বে একটি করে আসনে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ ১৬টি এবং বিজেপি ১৭টি আসনে প্রার্থী দেবে। আর তাঁকে বাদ দিয়ে বিহারে এনডিএ’র আসন রফা চূড়ান্ত হওয়ায় চটেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হাজিপুরের সাংসদ পশুপতি পারশ।
শুক্রবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ‘বিদ্রোহের’ ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিহারে আনুষ্ঠানিকভাবে আসন রফার সিদ্ধান্ত ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের দলে পাঁচজন সাংসদ রয়েছে। যদি যোগ্য সম্মান না পাই, তাহলে আমাদের কাছে দরজা খোলা রয়েছে। আমরা যে কোনও জায়গায় (পড়ুন কংগ্রেস-আরজেডি মহাজোটে) যেতে পারি। শরিক দল হিসেবে বিজেপির সঙ্গে বরাবরই বন্ধুত্বের সম্পর্ক রেখে চলেছি। আশা করি তার প্রতিদান দেওয়া হবে।’ হাজিপুর আসন থেকে তিনি ফের দাঁড়াবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে কোনও রাখঢাক না রেখে পারস বলেন, ‘২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে হাজিপুরের মানুষ দু’হাত তুলে আমাকে আশীর্বাদ করেছি। তাদের পাশে থেকেই লড়াই করব।’