নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর মামলার শুনানি শেষ হলেও বৃহস্পতিবার রায়দান স্থগিত রাখল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। টানা নয় মাস ধরে চলা শুনানির শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়ে সব পক্ষই। যদিও এদিন মামলার শুনানির শেষদিনে উদ্ধব ঠাকরে কেন আস্থা ভোটের মুখোমুখি না হয়ে ইস্তফার পথ বেছে নিলেন তা জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এম আর শাহ। আস্থা ভোটের মুখোমুখি না হয়ে যে সরকারের প্রধান পদত্যাগের রাস্তায় হেঁটেছেন সেই সরকারকে কীভাবে পুনর্বহাল করা সম্ভব সেই প্রশ্নও তুলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
এদিন মামলার শুনানিতে উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর আইনজীবী কপিল সিবল ও অভিষেক মণু সিংভি সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের সঙ্গে যা ঘটেছে তাতে শীর্ষ আদালতের উচিত হস্তক্ষেপ করা। আর তা না করা হলে গণতন্ত্রই চরম সঙ্কটে পড়ে যাবে। কোনও বিরোধী দলের সরকার ক্ষমতায় টিঁকে থাকতে পারবে না।’ দেশের অন্যতম সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনও একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে শিবসেনার প্রতীক বরাদ্দ করে গণতন্ত্রকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন সিব্বল।
তাঁর কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘এমন তো নয় যে উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। উনি তো আস্থা ভোটেরই মুখোমুখি হননি। যে সরকার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়নি সেই সরকারকে কীভাবে পুনর্বহাল করা যায়?’ একই কথা বলেন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি এম আর শাহ।