নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ‘মোদির চামচা’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। গত শুক্রবার তেলেঙ্গানা সফরে গিয়ে সেখানে রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় ক্ষুব্ধ হন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এক সরকারি আধিকারিককে ধমকান। এই বিষয়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
তেলেঙ্গানায় সীতারমনের রেশন বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বিরোধী দলগুলি নির্মলার আচরণের সমালোচনা করলেও এবার বিজেপি ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন। তেলেঙ্গানায় রেশন দোকান পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ছবি না দেখে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক জিতেশ প্যাটেলকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ধমকান। জিজ্ঞেস করেন, রেশনে যে চাল দেওয়া হয় সেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে কত টাকা দেওয়া হয়? যদিও সে প্রশ্নের জবাব সঙ্গে সঙ্গে দিতে পারেননি ওই জেলাশাসক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তখনই তাঁকে জানান, ৩৫ টাকা প্রতি কেজির চালে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় ৩০ টাকা এবং রাজ্য দেয় ৪ টাকা। বাকি ১ টাকা গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হয়। এরপরেই নির্মলার প্রশ্ন ছিল, যেখানে বেশিরভাগ টাকাই কেন্দ্রীয় সরকার দেয়, কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখা হবে না? জিতেশ প্যাটেলকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লোকেরা এসে এখানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে দিয়ে যাবেন।” সেই ছবি যাতে খুলে না দেওয়া হয়, জেলাশাসককে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন তেলেঙ্গানার অর্থমন্ত্রী। টুইটারে তিনি লেখেন, সবমিলিয়ে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি ৪৫ শতাংশের মধ্যে রাজ্য সরকার ১০ কেজি চাল বিনামূল্যে দেয়। প্রতিমাসে রাজ্য সরকার ৩ হাজার ৬১০ টাকা খরচ করে রাজ্য। তৃণমূলের তরফেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভার প্রাক্তন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ঘটনার কথা উল্লেখ করে টুইটারে তিনি লিখেছেন, “চামচাগিরির লজ্জাজনক উদাহরণ। অন্তত তিনি রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে চিঠি লিখে মোদির ছবি না থাকার বিষয়টি জানতে পারতেন।” উল্লেখ্য, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বিজেপি ঘনিষ্ঠ হলেও বর্তমানে গেরুয়া বাহিনীর সঙ্গে তাঁর দূরত্বব বেড়েছে। তাঁর মুখে এখন হামেশাই বিজেপির সমালোচনা শোনা যাচ্ছে।