নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের মুখেই রামধাক্কা খেলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, দলের পোস্টারে শরদ পওয়ারের ছবি এবং ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি। ঘড়ি প্রতীকের পরিবর্তে অন্য কোনও প্রতীক বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত বছরের জুলাই মাসে কাকা অজিত পওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে সামিল হয়েছিলেন অজিত পওয়ার। দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার হিসেবে তাঁকে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদ উপহার দিয়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। নিজেদের আসল এনসিপি দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় এনসিপির যুযুধান দুই গোষ্ঠী। ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত নির্বাচন কমিশনের তরফে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অজিত পওয়ার গোষ্ঠীকে আসল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’-ও বরাদ্দ করে। শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে নতুন নাম ও প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন শরদ পওয়ার। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে প্রবীণ মরাঠা নেতার আইনজীবী অভিষেক মণু সিঙ্ঘভি অভিযোগ করেন, সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে শরদ পওয়ারের ছবি ও এনসিপির ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করে চলেছে অজিত পওয়ার গোষ্ঠী। উল্টোদিকে অজিত গোষ্ঠীর তরফে আইনজীবী মনিন্দর সিং দাবি করেন, ‘নির্বাচন কমিশনই তাদের ঘড়ি প্রতীক বরাদ্দ করেছে। তাই ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করা হচ্ছে।’ কিন্তু কেন শরদ পওয়ারের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার পক্ষে সাফাই দিতে পারেননি। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি সূর্যকান্ত মিশ্র ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ অজিত পওয়ার গোষ্ঠীকে শরদের ছবি ও ঘড়ি প্রতীক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিচারপতিরা অজিত পওয়ারের গোষ্ঠীর আইনজীবীর উদ্দেশে পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে বলেন, ‘নির্বাচন এলেই আপনাদের শরদ পওয়ারের কথা কেন মনে পড়বে। আলাদা গোষ্ঠী হিসাবে কেন স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে পারছে না?’