নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং পরে প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হলেই তাকে ধর্ষণের তকমা দেওয়া যায় না। একটি ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তকে অব্য়াহতি দিতে গিয়ে এমনই এক পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চের। বেঞ্চ বলছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর হয়তো পুরুষটির পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সে কারণে তাঁর পক্ষে ওই মহিলার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তার অর্থ এটা নয় যে পুরুষটি মহিলার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি অজুহাত।
এই মামলায় দেখা গিয়েছে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত কাছাকাছি থাকতেন। অভিযুক্ত বিবাহিতা। তিনি তিন সন্তানের জননী। তবুও তিনি পড়শি পুরুষের প্রেমে পড়ে যান। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। জন্মলাভ করে একটি সন্তান। অভিযোগকারিণী ২০১২-তে ওই পুরুষের গ্রামে গিয়ে শোনে সে বিবাহিত। তারপরেও সে ওই পুরুষের সঙ্গে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করে। অন্যদিকে, অভিযোগকারিণীকে তাঁর স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদ দিলে সে পাকাপাকি অভিযুক্তের সঙ্গে থাকা শুরু করে। যদিও পরে অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি তাঁকে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করেছে। তাই, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সব সহবাসকে ধর্ষণ বলা যায় না। ক্ষেত্র বিচার অত্য়ন্ত জরুরী। এই মামলায় ক্ষেত্র দেখা হয়েছে।