নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। একে একে অতিথিরা আসতে শুরু করে। বক্সে বাজছে সানাই। চারিদিকে একবারে খুশির মেজাজ। ওদিকে হালুইকরেরা ব্যস্ত রান্নার কাজে। এমন সময় ঘটল বিপদ। বিয়ের আসরে সটান হাজির প্রথম পক্ষের স্ত্রী। সঙ্গে আবার দুই শিশু সন্তান। গ্রেফতারি এড়াতে বিয়ের আসর ছেড়ে দে দৌড়।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের হাটন রোডের একটি হোটেলে। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, পাত্রের নাম পঙ্কজ পাসওয়ান। বাড়ি আসানসোলের বুধা এলাকায়। সেখানকার এক তরুণীর সঙ্গে পঙ্কজের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়। বর-কনে বিয়ের পিঁড়িতে উঠবে উঠবে করছে। এমন সময় সেখানে হাজির প্রথম পক্ষের স্ত্রী।
স্থানীয় সুত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বিয়ের আসরে ঢুকে রীতিমতো চিৎকার জুড়ে দেন। তাকে বলতে শোনা যায়, নিজেকে ওই মহিলা পঙ্কজের স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। মহিলার বয়ান অনুসারে, তিনি বিহারের জামুইয়ের বাসিন্দা। পঙ্কজের সঙ্গে তাঁর সাত বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। সঙ্গে থাকা দুই শিশু পঙ্কজেরই বলে মহিলা দাবি করেন।
মহিলার বয়ান অনুযায়ী, প্রায় চারমাস আগে পঙ্কজ তাঁকে এবং দুই সন্তানকে বাপের বাড়ি রেখে এসেছিলেন। কিছুদিন আগে মহিলা শোনেন পঙ্কজ দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চলেছে। তখনই তিনি আসানসোল রওনা দেন। সারারাত কাটিয়েছেন স্টেশন না খেয়ে। বিয়ের আসরে দাঁড়িয়ে ওই মহিলা পঙ্কজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রুজু করার হুমকি দিলে পঙ্কজ সেখান থেকে এক নিশ্বাসে দৌড় দেয়।
আরও পড়ুন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গায়েব ৬ লক্ষ টাকা! কাঠগড়ায় পাত্র