নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলা ছাড়িয়ে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে আগেই টার্গেট করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দক্ষিণ-পশ্চিমের সমুদ্র তীরবর্তী ছোট রাজ্য গোয়াকেও পাখির চোখ করেছে। রাজ্যের নড়বড়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শক্তিশালী লড়াই দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলার শাসকদল। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ২৮ অক্টোবর গোয়া যাচ্ছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে পর্যদস্তু করতে গোয়ার আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তবে তাঁর আগে বিশেষ বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোয়ায় প্রথম রাজনৈতিক সফরের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, ‘এবার গোয়ায় জনগণের সরকার গঠিত হবে।’
গোয়ায় চারদিনের সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একগুচ্ছ কর্মলূচি সেরে রবিবার অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর কলকাতায় ফিরবেন। এদিন সেই বিষয়টি নিয়েই পর পর দু’টি ট্যুইট করেন তিনি। লিখেছেন, ‘২৮ অক্টোবর গোয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তার আগে বিজেপি এবং তাদের বিভেদমূলক উদ্দেশ্যগুলিকে পরাস্ত করার জন্য ব্যক্তি, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলির কাছে একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিগত ১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। আমরা একসঙ্গে নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ভোরের সূচনা করব। গোয়ায় এবার জনগণের সরকার হবে। জনগণের সমস্ত দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে সরকার।’
ইতিমধ্যেই গোয়ায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা তথা আইপ্যাক। গোয়ায় তৃণমূল এগিয়ে থাকার একটা বড়় দিক, দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক লুইজিনহো ফালেইরো এখন তৃণমূলে। তাঁকে দল সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বও দিয়েছে। মমতার সফরকালে আরও অনেক নেতা-কর্মী কংগ্রেস, বিজেপি-সহ অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। সূত্রের খবর, গায়ক লাকি আলিও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন এই সময়ে।