নিজস্ব প্রতিনিধি, সাগর (মধ্যপ্রদেশ): বর্তমানে তৈরি হওয়া সিরিঞ্জের(syringe) নিয়ম হল একবারই ব্যবহার করা যাবে (one time use) । যে ব্যক্তির শরীরে সিরিঞ্জ (syringe) ফোটানো হয়েছে, তিনি অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সেই সিরিঞ্জ দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করলে তিনিও একই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সেটা এড়াতেই একজনের শরীরে ফোটানো সিরিঞ্জ দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে ফোটানো হয় না। সেই নিয়মের বাইরে গিয়ে হাঁটলেন জীতেন্দ্র। তিনি একই সিরিঞ্জ (syringe) ব্যবহার করে ৩০জন (thirty students) পডু়য়াকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন।তারপরেও সে নিরুত্তাপ। সংবাদমাধ্যমকে উল্টে জীতেন্দ্র বলেছেন, এর মধ্যে ভুল কোথায়? তাছাড়া সে নিজের ইচ্ছায় একটি সিরিঞ্জ দিয়ে ৩০জনকে ভ্যাকসিন দেননি। কর্তৃপক্ষের (authority) নির্দেশেই তিনি এই কাজ করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ভাইরাল হয়েছে তার নেওয়া একটি সাক্ষাৎকার।ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে জীতেন্দ্র বলছেন, ‘ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে পড়ুয়াদের প্রত্যেক অভিভাবকের (parents) সঙ্গে কথা বলি। তাদের কাছে জানতে চাই, একটা সিরিঞ্জ দিয়ে ৩০জনকে ভ্যাকসিন দিলে তাদের আপত্তি নেই তো? অভিভাবকেরা জানায়, তাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। তাদের থেকে সম্মতি পেয়েই একটি সিরিঞ্জ দিয়ে তিরিশজন পডুয়াকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। এতে আমার দোষ কোথায়?’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়ো চোখে পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (State health department) । তারা জীতেন্দ্রর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে। পাশাপাশি ডা. রাকেশ রোশন, যার দায়িত্বে রয়েছে ভ্যাকসিন (vaccine) এবং সিরিঞ্জ (syringe) পৌঁছে দেওয়ায়, তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।