নিজস্ব প্রতিনিধি, জন্মু কাশ্মীর : জঙ্গি দমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। শুক্রবার কাশ্মীরের সোপোর থেকে তিন লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) জঙ্গিকে গ্রেফতার করল তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমাই চকে নাকা তল্লাশি চলার সময় তিন সন্দেহভাজনকে গোরিপুরা থেকে বোমাইয়ের দিকে আসতে দেখেন যৌথবাহিনীর সদস্যেরা। তাদের থামতে বলা হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া করে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তা বাহিনী। আটক করার পর তাদের তল্লাশি চালিয়ে তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, ন’টি পোস্টার এবং ১২টি পাকিস্তানি পতাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত তিনজন লস্কর জঙ্গি। এরা কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, সাধারণ মানুষ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালানোর ছক কষছিল। ধৃতদের জেরা করে আরও বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বোমাই চকে ২২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফের ১৭৯ ব্যাটলিয়ন এবং সোপোর পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে এই তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ধৃত তিন জঙ্গির নাম শরিক আশরাফ, সাকলাইন মুশতাক এবং তৌফিক হাসান শেখ।
উল্লেখ্য, গত ২১ তারিখ জম্মুর রাজৌরি জেলায় নৌসেরার ঝাঙ্গর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। তখনই নিয়ন্ত্রণরেখায় পুঁতে রাখা মাইন ফিল্ডের ফাঁদে পা দিয়ে বিস্ফোরণে জখম হয় তাবারক হোসেন নম্র এক সন্ত্রাসবাদী। মারা যায় তার দুই সঙ্গী। তাবারককে গ্রেফতার করে হাসপাতালে ভর্তি করে সেনাবাহিনী। জেরায় ওই জঙ্গি জানিয়েছে, ইউনুস চৌধুরী নামের এক পাকিস্তানি কর্নেল তাঁকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে ‘ফিঁদায়ে’ হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতে হামলার চালানোর জন্য তাকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছে তাবারক। বৃহস্পতিবার উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী।