নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: ভয়াবহকাণ্ডের সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর (Indore)। শুক্রবার দুপুরে ভোপাল (Bhopal) থেকে ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ইন্দোরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে (Police Control Room) ঢুকে সতীর্থ মহিলা সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জনা খাণ্ডেকে (Ranjana Khande) লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরে নিজেই আত্মঘাতী হলেন ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর হাকাম সিং ( Hakam Singh )। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টরকে স্থানীয একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই নৃশংসকাণ্ড নিয়ে পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আধিকারিকদের অনুমান, প্রণয় ঘটিত কারণেই এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর হাকাম সিং (Hakam Singh) আগে ইন্দোরের খুড়ালি সিমরোল (Khudail Simrol) ও সারাফা (Sarafa) থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোপালের শ্যামলা হিলস থানায় (Shyamala Hills police station ) বদলি হয়ে যান। ভোপালের খাটলাপুরায় ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। গত ২১ জুন তিনি ব্যক্তিগত কাজের জন্য তিনদিনের ছুটি নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ফের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজে যোগ না দিয়ে এদিন দুপুরে ভোপাল থেকে সোজা হাজির হন ইন্দোরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মহিলা সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জনা খাণ্ডেকে (Ranjana Khande) লক্ষ্য করে গুলি চালান। গুলির শব্দ পেয়ে হতচকিত হয়ে পড়েন কন্ট্রোল রুমে থাকা অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রঞ্জনা খাণ্ডে (Ranjana Khande)। প্রাণ বাঁচাতে বাকি পুলিশ কর্মীরা লুকিয়ে পড়েন। এর পরেই নিজের কাছে থাকা সার্ভিস রিভলবর দিয়ে গুলি ছুড়ে আত্মঘাতী হন হাকিম সিং। তাঁকে এবং মহিলা সাব ইন্সপেক্টরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা হাকিম সিংকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।