নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে মধ্য ভারতের তিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে ভরাডুবি ঘটেছে কংগ্রেসের। দুই রাজ্যে ক্ষমতা খোয়াতে হয়েছে। বাকি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জোরালো সম্ভাবনা থাকলেও মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে। কী কারণে ক্ষমতায় থাকা দুই রাজ্যে ভরাডুবি ঘটল, তা পর্যালোচনায় শুক্রবার রাতে বৈঠকে বসল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। এআইসিসি’র দফতরে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধিরা।
দুই রাজ্যের দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা। ছত্তিশগড়ের ভরাডুবি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী টি এস সিংদেও, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কুমারী শেলজা। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, দলিত তাস খেলতে গিয়েই রাজ্যে উচ্চবর্ণের ভোট হারিয়েছে দল। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের আটজনকে প্রার্থী করা হয়েছিল। ওই আটজনই হেরেছেন। জাতিগত সমীক্ষার উপরে জোর দিতে গিয়ে উচ্চবর্ণের ভোট হারাতে হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে ভরাডুবি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং, রাজ্য কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সূত্রের খবর, বৈঠকে ইভিএমে কারচুপি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। কিন্তু তাঁর আপত্তি ধোপে টেকেনি। ক্ষমতায় আসার বিষয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই দলের ভরাডুবির অন্যতম কারণ ছিল বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন। রাজ্য বিধানসভার ফলাফলে মানসিকভাবে মুষড়ে না পড়ে আগামী লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।