নিজস্ব প্রতিনিধি: গত শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭৮ জন মানুষের মৃত্যুব হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখনও ১০০টির বেশি মৃতদেহ শনাক্তকরণ হয়নি বলে জানা গিয়েছে। শতাধিক মৃতদেহ এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে পড়ে রয়েছে শনাক্তকরণের অপেক্ষায়। যারা মৃতদেহ নেওয়ার জন্য আসছেন ভুবনেশ্বর এইমস এর তরফে সেই দাবিদারদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
ভুবনেশ্বর এইমস এর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, দাবিদারদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ১০ টির মতো নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মৃতদেহগুলি এখন পাঁচটি কন্টেনারে রাখা হয়েছে। যেখানে সেগুলি অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। তিনি আরও জানান, ডিএনএ পরীক্ষার পর দেহগুলি ছাড়ার জন্য তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। কারণ সেগুলো কন্টেনারে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
জানা গিয়েছে, ২৭৮ মৃতদেহের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৭৭টি দেহ শনাক্তকরণ করা হয়েছে। বাকি ১০১টি এখনও শনাক্তকরণের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। সেগুলি শনাক্তকরণের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ভুবনেশ্বর এইমসে ১২৩টি দেহ রাখা ছিল। সেগুলির মধ্যে মাত্র ৬৪টি মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
দুর্ঘটনায় নিহত ঝাড়খণ্ডের এক যুবকের পরিবার দেহ নিতে গিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁদের নিকটাত্মীয়ের দেহ অন্য কাউকে দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন পরিবারটি। তাঁদের দাবি, সোমবার তাঁরা উপেন্দ্র কুমার শর্মার মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন, কিন্তু মঙ্গলবার তা অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই ডিএনএ পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই পরিবারটি। গোটা ব্যবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মৃতদেহ অন্য কাউকে দেওয়া হলে ডিএনএ পরীক্ষা করে কী লাভ।