নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: তৈরি করতে লেগেছিল নয় বছর। আর নিশ্চিহ্ন হতে সময় লাগল মাত্র নয় সেকেন্ড। কাঁটায়-কাঁটায় ঘড়িতে ঠিক আড়াইটে। বিকট শব্দে কেঁপ ওঠে নয়ডার টুইন টাওয়ার। দুপুর ২.৩০ থেকে ২.৩১ ঘ.য়ের মধ্যে ধুলোয় মিশে গেল এই বিশাল বহুতল। ধোঁয়া আর ধুলোয় ঢেকে যায় নয়ডার আকাশ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় এলাকায় রীতিমতো কম্পন তৈরি হয়। ভারতে এই ধরনের বিশাল (বিলাসবহুলও বটে )আবাসন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রথম।
বস্তুত এই বহুতল ভাঙাকে কেন্দ্র করে গত কয়েদিন ধরেই নয়ডায় চলছিল প্রস্তুতি। আনা হয়েছিল ৩,৭০০ কেজি বিস্ফোরক। আবাসনের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ চলছিল যুদ্ধকালীন তৎরতায়। এই বিশাল আবাসন অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে- এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হল, সুপ্রিম কোর্ট আবাসন ভোঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে জানায়, আবাসনের প্রত্যেক বাসিন্দাদাকে দিতে হবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ।
আদালতের নির্দেশ মেনে বহুতল নির্মাতা সংস্থা বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। টুইন টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় রবিবার সকাল থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়। সওয়া দুটো থেকে শুরু হয় কাউন্ট-ডাউন। ঘড়িতে তখন ঠিক আড়াইটে। ঘটনা হয় বিস্ফোরণ। নয় বছরে তৈরি হওয়া এই অট্টালিকা মাত্র নয় সেকেন্ডের মধ্যে মাটিতে মিশে যায়। ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিল টুইন টাওয়ার।
বিস্ফোরণের পরে পরে এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তুপ সরাতে সময় লাগবে বেশ কয়েক মাস। বিকেলে চারটের পর টুইন টাওয়ার সংলগ্ন অন্যান্য আবাসনের বাসিন্দাদারা প্রবেশ করতে পারবেন।