নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বহু চেষ্টার পরেও কিছুতেই বিয়ের ফুল ফুটছিল না নয়ডার বাসিন্দা বছর তিরিশের এক যুবকের। বিয়ে কেন হচ্ছে না সেই কারণ খুঁজতে সম্প্রতি এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয় সে। সেই তান্ত্রিকই তাঁকে পরামর্শ দেয় সামনে হোলির পুণ্যলগ্নে একটি শিশুকে নরবলি দিলেই কেটে যাবে বিয়ের ফাঁড়া। আগামী হোলিতেই করতে সেই কাজ, তারপরেই স্ত্রী সন্তানের সুখ পাবে সে। এরপরে আর এক মুহূর্ত দেরি করেনি ওই যুবক। এক বন্ধুর সাহায্যে প্রতিবেশীরই একটি ৭ বছরের শিশুকে অপহরণ করে সে। হোলির রাতের পুজো, নরবলির আয়োজন সবকিছুই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে পুলিশি তৎপরতায় ভণ্ডুল হয়েছে তার সমস্ত পরিকল্পনা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ওই ৭ বছরের একরত্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি নয়ডার ছিজারসি গ্রামের। এই গ্রামেরই একটি ৭ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে গত ১৩ মার্চ থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা এবং পরে গ্রামের বাকি সদস্যরা প্রথমে নিজেই ওই শিশুটিকে খুঁজে বের করার জন্য খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু কোনওভাবেই যখন তার কোনও খবর পাওয়া যায় না, তখন তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। শিশুদের পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে এই শিশুটিকে খুঁজে বের করতে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর বহু খোঁজাখুঁজির পরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উদ্ধার হয় শিশু কন্যাটি। জানা যায় হোলির রাতে তাকে বলি দেবে বলে তারই প্রতিবেশী ওই শিশুটিকে অপহরণ করেছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজন এখনও পলাতক। খোঁজ মেলেনি ওই তান্ত্রিকেরও। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এবং তার সহকারী বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই যুবক পুলিশি জেরার মুখে পড়ে সমস্ত অভিযোগ স্বীকারও করেছে। সিসিটিভিতে প্রায় ২০০ জন সন্দেহ ভাজনকে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। সেখান থেকেই সন্ধান মেলে এই দুই অভিযুক্তর।