নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আসন পেতে দিতে হবে টাকা। টাকার সর্বোচ্চ পরিমাণ ১০০ কোটি। বিগত কয়েক মাস ধরে এই চক্র সক্রিয় ছিল। সোমবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পায়, চক্রের (Racket) এক পাণ্ডার সঙ্গে এক ব্যক্তির টাকার লেনদেন হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পদস্থ (CBI)আধিকারিকেরা ফাঁদ পাতে। ফাঁদে ধরা পড়ে এক ব্যক্তি। চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িয়ে রয়েছে কি না, সেটা খোঁজ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
মোটা টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার আসন পাইয়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৩-য়ের জুলাইয়ে (July) । হরিয়ানার কংগ্রেস (congress) সাংসদ বীরেন্দর সিং এই নিয়ে মুখ খোলেন। জানান, রাজ্যসভার আসন পাইয়ে দিতে একটি চক্রিয় সক্রিয়। বীরেন্দর সিং (Congress MP from Haryana Birender Singh) একটি আলোচনা চক্রে ভাষণ দিচ্ছিলেন। বক্তব্যে বলেন, তিনি এমন একজনকে চেনেন, যিনি মোটা টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার আসন পেয়েছেন। যদিও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির কাছে তিনি সংযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি জানান, চক্র ওই ব্যক্তির কাছে ১০০ কোটি (100 crores) টাকা দাবি করেছিল। টাকা নিয়ে দর কষাকষি হয়। রফা হয় ২০ কোটি টাকায়। এই প্রসঙ্গে বীরেন্দর সিং (Birender Singh) তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনের একটি তথ্য, যে তথ্য বলছে, নির্বাচন এখন টাকার খেলায় পরিণত হয়েছে। মোট টাকা থাকলেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায়।
এই নিয়ে আবার বিজেপির (BJP) সঙ্গে কংগ্রেসের (Congress) রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক পরিবেশ কলুষিত করার পিছনে হাত রয়েছে কংগ্রেসের। পাল্টা দোষ পদ্ম শিবিরের ওপর চাপিয়ে কংগ্রেস।