নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরকাশী-যমুনেত্রী সড়কে নির্মাণাধীন সিল্কিয়ারা টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ায় আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে নিরাপদে বের করে আনার জন্য উদ্ধার অভিযান শনিবার সকালে সপ্তম দিনে প্রবেশ করেছে। পাইপ খনন ও পুশ করার জন্য নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি মেশিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শুক্রবার থেকে টানেলটিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে হেলিকপ্টারে করে আনা আরেকটি হাই-পারফরম্যান্স ড্রিলিং মেশিন ইতিমধ্যে দেরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এবং সড়ক পথে সিল্কিয়ারায় যাওয়ার জন্য রওনা হয়ে গিয়েছে।
দেরাদুনে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের ক্যাম্প অফিসে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক করেন। শুক্রবার বিকেলে অভিযান বন্ধ হওয়ার আগেই সুড়ঙ্গের অভ্যন্তরে ৬০ মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত্ব ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ২৪ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়। এরপর গভীর রাতে এনএইচআইডিসিএল-এর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শুক্রবার দুপুর ২.৪৫ নাগাদ পঞ্চম পাইপ বসানোর সময় সুড়ঙ্গে বিকট শব্দ শোনা যায়, যার পরে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। বিকট আওয়াজে উদ্ধারকারী দলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রকল্পের সাথে জড়িত একজন বিশেষজ্ঞ আশেপাশে আরও ধসের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। পরবর্তীতে পাইপ পুশিং কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপসচিব মঙ্গেশ ঘিলদিয়াল উদ্ধার অভিযানের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে আজ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। একটি ভারী মেশিন দিল্লি থেকে এয়ারলিফট করা হয়েছিল এবং অন্যটি ইন্দোর থেকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার কাজ নামানো হবে। ইন্দোর থেকে দেরাদুনে প্রায় ২২ টন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি সি-১৭ পরিবহন বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিকের মধ্যে যাদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন, তাদের সঙ্গে সুড়ঙ্গের ভেতরে পাইপের মাধ্যমে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সুড়ঙ্গটি জাতীয় মহা সড়ক ও উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে নির্মিত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প।